জানা গেছে, সম্প্রতি শৈলকুপা উপজেলার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজে ছয় কোটি টাকার চারটি দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহমেদ ১৭ অক্টোবর অনলাইনে দরপত্র জমা দেন। যাচাইবাছাই শেষে ১৮ অক্টোবর বিভিন্ন শর্ত পূরণ করায় ও সর্বনিম্ন দরপত্র হওয়ায় তিনি ছয় কোটি টাকার কাজ পেয়ে যান। কাজটি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এমপি আবদুল হাইয়ের ক্যাডাররা। মারধর ছাড়াও মুঠোফোনে দেয়া হয় হত্যার হুমকি। কাজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার ওপর হামলা করে এমপির আশীর্বাদপুষ্ট সশস্ত্র ক্যাডাররা। বাবাকে বাঁচাতে গেলে তার ছেলে গোলাম মুর্শিদকেও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া হয়।
মুক্তার আহম্মেদ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শৈলকুপা উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক। কেবল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই যুক্ত নন তিনি, এলাকায় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসেবেও বেশ পরিচিত। তার হাত ধরে গড়ে ওঠেছে যমুনা শিকাদার কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি পদ ছাড়াও তিনি রয়েছেন আরও তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একই পদে। ছিলেন আবাইপুর ইউনিয়নের দুই দুইবারের চেয়ারম্যান। এলাকায় অন্য দলের নেতারাও তাকে দেখেন শ্রদ্ধার চোখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন