শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

কালকিনিতে এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ


কালকিনি প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এবার অশোক রায় নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন মিলে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। এদিকে এ অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে স্থানীয় লোকজন। তবে এ ঘটনার পর থেকেই ওই লম্পট শিক্ষক অশোক রায় স্কুল ছেড়ে পলাতক রয়েছে বলে একাধিক সুত্র জানায়। এ বিষয় নিয়ে আজ শনিবার ভুক্তভোগীদের পরিবারদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকা ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শশিকর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক রায় রাতের আধারে বিভিন্ন সময় হোষ্টেলে থাকা ছাত্রীদের রুমের গিয়ে কু-প্রস্তব দিয়ে আসছে। তাতে কোন ছাত্রীরা সারা না দিলে তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে এবং বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি- ধামকি দেয় ওই শিক্ষক। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে চড়ম আতংক সৃষ্টি হয়েছে। পরে নিরুপায় হয়ে এ শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিষয়গুলো ছাত্রীরা তাদের অভিবাকদের অবহিত করেন। অভিভাবকরা বিষয়টি জেনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস ও থানার ওসির বরাবর ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অপসারনের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেন। বিষয়টি সর্বমহলে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক অশোক রায় এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়াও উল্লেখ্য থাকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কারনে নামে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।

মিষ্টি বিশ্বাস, তানিয়া তালুকদার ও পপি রায়সহ অর্ধশতাধিক স্কুল ছাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমাদের স্যার আশোক রায় বিভিন্ন সময় স্কুলে বসে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। রাতের আধারে রুমের দরজা খুলতে বলেন। তার কথা না শুনলে আমাদের বিভিন্ন ভয় দেখান। বিরেন রায়, বিমল ও হরিপদ তালুকদারসহ দুই শতাধিক ছাত্রীদের অভিভাবক বলেন, লম্পট শিক্ষক আশোক রায়ের অপসারন ও দৃষ্টান্তমুল বিচার দাবি জানাই। কারন তার অনৈতিক কারনে স্কুলে কোন ছাত্রী যেতে চায়না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অশোক রায়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মৃনাল বলেন, ওই শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে স্কুল আজ ধ্বংশের দারপ্রান্তে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাম্মী আক্তার সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, এ বিষয় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বিবাহিতরা?


অনলাইন ডেস্ক: বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা নারীর সঙ্গে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে। 'পরকীয়া' প্রেমকে সবাই একটু ভিন্ন চোখে দেখেন এবং একে অন্যায় বলেই মনে করেন। কিন্তু পরকীয়া প্রেম শুধু কি অন্যায়! নাকি এর নেপথ্যে থেকে যাচ্ছে মনস্তত্বের জটিল গতিবিধি? কেন আচমকাই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন বিবাহিতরা? দেখে নেওয়া যাক মনোবিদদের উল্লেখ করা কারণগুলি।

১) দীর্ঘদিনের বিয়ে
যারা কম বয়সে বিয়ে করে ফেলেন, তাদের ক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। দীর্ঘদিনের বিয়ের ফলে দাম্পত্যে একটা স্থিতাবস্থা চলে আসে। জীবনযাপন তখন দিনগত অভ্যাসে গিয়ে ঠেকে। তাই এই জীবন থেকে বের হতেই নতুন কোনও সম্পর্কের খোঁজ করেন কেউ কেউ।

২) বিয়ে-অসন্তোষের কারণ
সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই অনেকে যে কোনও সঙ্গীর সঙ্গে বিবাহকে মেনে নেন। কিন্তু যত দিন যায় তত বাড়তে থাকে অসন্তুষ্টি। সঙ্গীকে ঠিকভাবে চেনা না থাকার ফলে সম্পর্কটা ঠিক মতো গড়ে উঠেনা। আর তাই জীবনের গতিপথে যদি কেউ এসে পড়েন, যার সঙ্গ পেলে মনের তারে সাড়া পড়ে, মানুষ জড়িয়ে পড়তে চায় তাঁর সঙ্গেই।

৩) নিছক কামনা
কখনও আবার এসব কোনও সমস্যাই থাকেন। মানুষ স্বভাবত বহুগামী। আর তাই নিছক কামনার বশবর্তী হয়েই সম্পর্কের ভিতর থেকেও অন্য কারওর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন অনেকে। এক্ষেত্রে যৌনতাটাই প্রধান হয়ে পড়ে। শারীরিক আকর্ষণই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। তবে অনেক সময় এর পিছনে অন্য একটি কারণও দেখা যায়। যত দিন গড়ায় বিবাহিতরা যৌনতার ক্ষেত্রে ক্রমশ প্রথমদিককার উত্তেজনা হারিয়ে ফেলেন। শারীরিক অসন্তুষ্টি তাঁদের নতুন কোনও সম্পর্কের দিকে যেতে প্ররোচিত করে।

৪) ঝামেলা থেকে মুক্তি
সংসারের নানা ঝামেলা সময় সময় অনেককে ক্লান্ত করে। যত দিন যায় মানুষের জীবনে তত দায়িত্ব বাড়তে থাকে। পরিবারের বোঝা এসে ক্লান্ত করে। এর থেকে মুক্তি পেতেই নতুন সম্পর্কের দিকে হাত বাড়ায় বিবাহিতরা। সন্তান সন্ততি থেকে বৃদ্ধ মা-বাবার নানা সমস্যায় ক্রমশ জেরবার হতে থাকেন মধ্যবয়স্ক বিবাহিতরা। তখনই ঝোঁক বাড়ে পরকীয়ার দিকে।

৫) প্রতিশোধ নিতে
আশ্চর্য লাগলেও এটাও সত্যি। নিজের সঙ্গীর প্রতি প্রতিশোধ নিতে কেউ কেউ বেছে নেন অন্য সম্পর্ক। ধরা যাক, কোনও কারণে বর্তমান সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দিয়েছে। বা সঙ্গী অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এরকম সন্দেহ দানা বেধেছে। অথবা নিজের অনুভূতিতে, আনন্দে-বিষাদে কাছের মানুষটিকে নির্বিকার দেখে রাগ হয়েছে। আর এসব ক্ষেত্রে সঙ্গীর উপর প্রতিশোধ নিতেই অন্য সম্পর্কে হাত বাড়ান অনেকে। সেক্ষেত্রে পরকীয়ায় নিজেকে অনেকটা ক্ষমতাশীল রাখতেই পছন্দ করেন বিবাহিতরা।

৬) মনের যোগাযোগ
চেনা সম্পর্ক চলছিল বেশ বাঁধা গতে। কিন্তু জীবন তো অদ্ভুত। আচমকা জীবনে এমন কারওর সঙ্গে দেখা যায়, যার সঙ্গে অনেক বিষয়ে মনের মিল পাওয়া যায়। হয়তো একই শখ বা একই জিনিস পছন্দ করার ক্ষেত্রে, কিংবা রুচির ক্ষেত্রে অসম্ভব মিল দেখা যায়। অথবা নিজের সঙ্গীর মধ্যে ঠিক যে যে অভাবগুলো অনুভব করেন কেউ কেউ, অন্য কারওর মধ্যেই আচমকা তা খুঁজে পেয়ে যান। আর এর ফলেই সম্পর্কে থাকা সত্ত্বেও নতুন সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলেন অনেকে।
মূলত এই কারণগুলি থেকেই পরকীয়ায় ঝোঁকের অনেকে। ধরণগুলো চিনে নেওয়া বা জানা থাকলে ভাল। তাতে নিজেকে চিনতে অনেকটা সুবিধা হয়।

শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬

‘কুয়েতের বাচ্চারা পর্যন্ত নির্যাতন করেছে’


মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এখন অনেক বাংলাদেশের নারীরা কাজ করছেন। বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বর্ণনা করেছেন শামসুন্নাহার বেগম।
নারীদের নিয়ে বিবিসির বিশেষ অনুষ্ঠানমালা '১০০ নারী'। এ বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশে নারীদের বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, সাফল্যসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে।
শামসুন্নাহার বেগম একাই চলে গিয়েছিলেন কুয়েতে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতে। সেখানে কয়েকবছর ধরে কাজ করে মালয়েশিয়ায় গিয়ে কারখানায় কাজ করেছেন। এখন ঢাকায় ফিরে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক এমন নারীদের প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
যে সমাজে মেয়েদের বাইরে কাজ করার ওপরে এখনও অনেক সামাজিক-পারিবারিক বাধা বিপত্তি রয়ে গেছে, সেখানে প্রায় নিরক্ষর শামসুন্নাহার একা অজানা-অচেনা এক দেশে কাজ করার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন।
শাসুন্নাহার বলেন, আমরা বাইরে যাই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য, বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে চলার জন্য। পিছুটান আছে বলেই কিন্তু আমরা বিদেশে যাই।
বাংলাদেশে যেরকম কাজ করতে হয় বিদেশে তার চেয়েও বেশি করতে হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু এ যে নির্যাতন হচ্ছে, আমি কুয়েতে ছিলাম। আমি নিজেও কষ্ট পেয়েছি। এখনও কিন্তু এগুলো চলছে। আমি ভুগেছি আমার অন্য বোনেরা যেন না ভোগে।
"রাত্র দুটা পর্যন্ত কাজ করেছি। হয়তো সব কাজ হয়ে গেছে। তারপরও রাত একটা-দেড়টার পরও কাপড় ইস্ত্রি করার জন্য বলেছে। দুটা-আড়াইটা পর্যন্ত সেটা করতে হয়েছে। শুধু দুইটা টাকার জন্য"।

একটু খাওয়ার জন্য এত কষ্ট করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "ওই দেশের খাবার বাঙালি মেয়েরা খেতে পারে না। তাও বলে না তোমরা রান্না করে খাও। ওরা খেয়ে যে খাবার থাকে সেগুলোই আমাদের খেতে দেয়"। ঠিকমত বেতনও দেয়া হয় না বলে তিনি জানান। এই কথাগুলো বলার সময় তার কণ্ঠস্বরে ছিল কান্নার রেশ। তিনি বলেন, "মাত্র এগারো মাসের বেতন দিয়েছে। কিন্তু দুই বছর তিন মাস থেকে আসছি। কত মার খেয়েছি। জুতা দিয়ে মারে, লাথি মারে, মুখে থুথু মারে। ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত এমন করে"।
এখন নিজেই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছেন শামসুন্নাহার। নারীরা যারা বিদেশে কাজ করতে যেতে ইচ্ছুক তাদেরকে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বিদেশে কীভাবে রান্না করা হয়, ভাত কীভাবে রান্না করা হয় , অন্যান্য খাবার তৈরির পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। সেইসাথে সেখানকার খাবারের সাথে, কাজ-কর্মের সাথে পরিচিত করানো হচ্ছে।-বিবিসি


যে নারীরা বেশি যৌন মিলন করেন তাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর


যে নারীরা প্রায়ই যৌন মিলন করেন তাদের স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে।
নারী-পুরুষের যৌন মিলনের ফলে নারীদের মস্তিষ্কে কী প্রভাব পড়ে সে সম্পর্কিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, বেশি বেশি যৌন মিলনের ফলে বিমূর্ত শব্দ মনে রাখার ক্ষেত্রে নারীদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা বেড়ে যায়।

কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী গবেষণাটি চালান। গবেষণায় তারা হিপ্পোক্যাম্পাসের স্নায়ু কোষগুলোর বৃদ্ধিতে যৌনতার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন। হিপ্পোক্যাম্পাস হলো মানব মস্তিষ্কের সেই এলাকা যেখান থেকে মানুষের আবেগ, স্মৃতি এবং স্নায়বিক পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

গবেষণার জন্য তারা ৩০ বছরের কম বয়সী ৭৮ জন বিষমকামী নারীকে একটি স্মৃতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এতে লোকের চেহারা এবং অন্যান্য অংশ সংশ্লিষ্ট কিছু বিমূর্ত শব্দ দিয়ে তাদের স্মৃতি পরীক্ষা করা হয়। তাদেরকে নিজেদের গড় গ্রেড পয়েন্টের রেকর্ড রাখার জন্য একটি প্রশ্নপত্রও সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়।
যেখানে তাদেরকে তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ করেন কিনা সে সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হয়।
গবেষণাটির ফলাফলে দেখা গেছে, যে নারীরা প্রায়ই যৌন মিলন করেন তারা বিমূর্ত শব্দগুলো স্মরণে সবচেয়ে বেশি সক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন। তবে কারো চেহারা মনে রাখার ক্ষেত্রে যৌনতা তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে বলে প্রমাণিত হয়নি।

পুরুষদের যৌন সক্ষমতা ধ্বংস করছে পর্ন


ইন্টারনেটে পর্ন দেখার ফলে প্রতি ১০ জন যুবকের একজনের যৌন মিলনের সময় লিঙ্গোত্থানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমনটাই বলেছেন, যুক্তরাজ্যের লিঙ্গ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্ড্রু স্মাইলার।
তিনি বলেন, অনলাইনে সহজেই সীমাহীন পর্ন সহজলভ্য কারণে স্বাস্থ্যবান যুবকেদরও যৌন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তিনি ব্রিটেনের দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, “এমন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৩ থেকে ২৫।”
তিনি বলেন কেউ যদি প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে টানা পাঁচ বছর পর্ন দেখে এবং হস্তমৈথুন করে তাহলে কোনো নারীর সঙ্গে যৌন মিলন করতে গিয়ে তার আর লিঙ্গোত্থান হবে না।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের এক তৃতীয়াংশই প্রতিদিন পর্ন দেখেন। আর স্মার্টফোনের সহজলভ্যতা এবং দ্রুততর ইন্টারনেটে সংযোগের ফলে এই সংখ্যা এখন আরো অনেক বেশি বেড়েছে।

যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মনোযৌনতা বিষয়ক চিকিৎসক ড. অ্যাঞ্জেলা গ্রেগরি বলেন, “পুরুষরা মানসিক এবং শারীরিক উভয়ভাবেই নারীর সাথে বাস্তব যৌন মিলনের সময় স্বাভাবিক উদ্দীপনা ও উত্তেজনার প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলেছেন।”
তিনি বলেন, “অনেকে আবার অতিযৌনায়িত হয়ে পড়েছেন এবং হরহামেশাই যৌন উত্তেজনা বোধ করছেন। এটা অনেকটা খুজলি-পাঁচড়ার মতো যাতে একবার আঁচড় কাটলে সারাক্ষণই তা মনের ভেতরে বিরাজ করে।”
ড. গ্রেগরির মতে অনেক পুরুষের মধ্যে মাদকাসক্তির মতোই পর্ন আসক্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন তার কাছে প্রায়ই লিঙ্গোত্থান ব্যর্থতার সমস্যা নিয়ে এমন যুবকরা আসেন যারা তাদের এই সমস্যার পেছনে পর্নকে দায়ী করতে চান না। কারণ তাদের মতে পর্ন দেখা স্বাভাবিক একটি বিষয়।
তবে সৌভাগ্যক্রমে পর্নজনিত লিঙ্গোত্থান সমস্যা সহজেই নিরাময়যোগ্য যদি আপনি স্বাস্থ্যবান পুরষ হন। আপনি যদি হস্তমৈথুন বন্ধ করতে পারেন তাহলে সহজেই স্বাভাবিক লিঙ্গোত্থান ক্ষমতা পুনরায় ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, টানা ৯০ দিন পর্ন দেখা ও হস্তমৈথুন করা বন্ধ রাখতে পারলে পুরুষদের লিঙ্গোত্থান সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে সপ্তাহে ১ থেকে তিনবার পর্ন দেখার ফলে খুব বেশি সমস্যা হয় না।
এছাড়া পর্ন দেখার ফলে পুরুষদের মনে যৌনতা সম্পর্কে অস্বাভাবিক ধ্যান-ধারণাও সৃষ্টি হতে পারে। পর্ন মুভিতে সাধারণত খুব সহজেই যৌনমিলন ঘটে। সবাই খুব সহজেই যৌনতায় লিপ্ত হয় এবং কেউ কখনো না বলেন না।
কিন্তু বাস্তবে মানুষ সব সময়ই যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত থাকেন না। এছাড়া পর্ন দেখার ফলে মানুষের দেহের যৌন আকর্ষণীয়তা সম্পর্কেও ধারণা বদলে যায়। নারী বা পুরুষদের কোনো ধরনের দৈহিক কাঠামো বেশি আকর্ষণীয় আর কোন ধরনের দৈহিক কাঠামো আকর্ষণীয় নয় সে সম্পর্কিত ধারণাও বদলে যায় এবং অবাস্তব প্রত্যাশা তৈরি হয়।

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৬

জনপ্রিয় গায়িকা সালমার স্বামী যে কারনে ডিভর্স দিয়েছে দেখুন। (ভিডিও)

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ বছরের সুন্দরীর ২৪ বিয়ে, স্বামীদের মানববন্ধন !!


২২ বছর বয়সেই শরিফা খাতুন ২৪টি বিয়ে করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। একে একে ২৪টি বিয়ে করলেও দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ স্বামীর সঙ্গেই কোনো প্রকার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি শরিফার। কাবিননামায় বিয়ের কনে হিসেবে শরিফার একাধিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

শরিফা খাতুন, তুরজাউন খাতুন, শরিফা খাতুন বৃষ্টি, আবার কোথাও শরিফা নাম উল্লেখ্য রয়েছে। কাবিননামায় কুমারী দাবি করে শরিফার বয়স দেখানো হয়ে ১৮ থেকে ২০ বছর।
চার মাস পূর্বে মা জবেদার প্ররোচনায় শরিফা চট্টগ্রামের এক যুবককে বিয়ে করে। শরিফা একই রকম প্রতারণা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ, বদিউজ্জামান, মোসারফ হোসেন, আজাহার আলী, শীষ মোহাম্মদ, সারোয়ার রহিম আপেল ও রাজশাহীর আহসান হাবিবের সঙ্গে।
তাদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে চারটি মামলা ও ১০টির অধিক সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। তাদের বিচার ও শাস্তি দাবি করে প্রতারিত ৮ স্বামী ও তাদের পরিবার চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সাহাপুর গ্রামের সেকেন্দার গাজীর ছেলে তেইশ নম্বর প্রতারিত স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী নূর হোসেন । ২০১৩ সালে প্রবাস জীবনের ছুটিতে সৌদি থেকে এসে পারিবারিকভাবে ৩ লাখ ১টা দেন মোহরে ১৭ ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিয়ে করেন শরিফা খাতুন বৃষ্টিকে। ১৯ লাখ টাকায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় একটি বাড়ি কিনে দেন শরিফার নামে।
দেশে নয় মাস ঘর-সংসার করে ছুটি শেষে সৌদি কর্মস্থলে যাবার সময় চার মাসের গর্ভবতী শরিফাকে নিয়ে যান সঙ্গে। সেখানে শরিফা একমাসও থাকেনি। মা জবেদার প্ররোচনায় ফিরে আসে বাংলাদেশে এবং পেটের পাঁচ মাসের সন্তান নষ্ট করে জানায়, গর্ভপাত হয়েছে। এরপর তাদের সংসার টিকেছিল আরো ১৮-১৯ মাস। এ সময় শরিফার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় আরো ৩০ লাখ টাকা পাঠায় তার স্বামী।

প্রসঙ্গত, শরিফার পৈতৃক বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরসংলগ্ন সদর উপজেলাধীন বারঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর-তাঁতিপাড়া এলাকায়। বাবা শরিফুল ইসলাম, মা জুলেখা খাতুন ওরফে জবেদা। তিন ভাইবোনের মধ্যে শরিফা জ্যেষ্ঠ, মেজ ভাইটির নাম হজরত আলী। ছোট ভাই ৬-৭ বছরের।
শরিফার বাবা শরিফুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রি, সৌদি আরব প্রবাসী। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রামের বাড়ি বারঘরিয়া থেকে কয়েক বছর আগে বিতাড়িত হয়ে জেলা শহরের স্বরূপনগর-শাহীবাগ মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বিয়ে বাণিজ্য চালাতে থাকেন। সেখান থেকেও একই কারণে বিতাড়িত হয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে প্রতারণা চালাতে থাকেন।