বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬

আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ৫ গোপন মন্ত্র জেনে রাখুন


অধিকাংশ মানুষেরই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে অভাববোধে ভুগতে হয়। আর এ ধরনের অনুভূতি থেকে পরবর্তীতে বড় ধরনের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো সে ঘাটতি কাটানোর পাঁচটি উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএনসি।
১. সমস্যার মুখোমুখি হোন
অত্যন্ত সফল মানুষেরও জীবনের একপর্যায়ে নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর সন্দেহ তৈরি হতে পারে। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কেও ভুল ধারণা গ্রাস করতে পারে। তবে এতেই পরাজিত হলে চলবে না। নিজের সেই আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি সমস্যার মুখোমুখি হোন। নিজেকে জানুন। সমস্যাটি সমাধান করুন।

২. নিজেকে সমালোচনা নয়
কোনো বিষয়ে নিজেকে সমালোচনা করবেন না। অনেক বিষয় সব সময় ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। কোনো অ্যাসাইনমেন্ট যদি সঠিকভাবে করতে না পারেন তাহলেই যে সবকিছু শেষ হয়ে গেল, এমনটা নয়। নিজেকে প্রস্তুত করুন কাজটি সঠিকভাবে শেষ করার জন্য।
৩. ছোট আকারে শুরু করুন
বড় আকারের কোনো কাজ আপনার উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বড় কাজটি আপনার উদ্বেগ কমাতে পারে বড় আকারের কাজটিকে ছোট ছোট করে করা।
৪. নিজেকে আত্মবিশ্বাসী নেতা হিসেবে দেখুন
আপনি যদি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে না দেখেন তাহলে অন্যরাও আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে দেখবে না। আর এ কারণে আপনার নিজেরও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।
৫. সঠিক অঙ্গভঙ্গি
উঁচু জুতো পরা, সোজা হয়ে দাঁড়ানো কিংবা অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দুঃখ প্রকাশ এড়িয়ে চলুন। আপনি যখন আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করবেন তখন আধো বুলিতে কথা বলা বাদ দিন। আমতা আমতা করবেন না। আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি প্রকাশ করে, এমন সব আচরণ বাদ দিন।

কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক নারীকে বেঁধে পিটিয়েছে এলাকার মাতব্বর (দেখুন ভিডিও






অবশেষে প্রতিবন্ধী স্বামীকে টেনেহিঁচড়ে হাসপাতালের দোতলায় উঠালো স্ত্রী!


হাসপাতালের র‌্যাম্প দিয়ে দোতলায় ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি। একটু যেতেই হাপিয়ে পড়তে হচ্ছে তাকে। কারণ এক হাত দিয়ে দেয়াল ধরে এবং অপর হাত দিয়ে অসুস্থ স্বামীকে টেনে ওপরে তুলতে হচ্ছে তাকে। অথচ আশেপাশে থাকা একটি লোকও সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসেনি। এমনকি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি হুইলচেয়ারও সরবরাহ করেনি তাকে এমনকি প্রতিবন্ধী স্বামীকে হাসপাতালের দোতলায় তুলতে কেউ কোনও প্রকার সহযোগিতা) করেনি।
শ্রীভানি নামের ওই নারী অভিযোগ করেন, তার শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বামীকে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পাননি তিনি। অথচ ‘তারা দোতলায় তাকে নিয়ে যেতে বলেছে। তাই তাকে আমি এভাবেই নিয়ে যাচ্ছি।’

রাজধানী হায়দারাবাদ থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরে অনন্তপুর জেলার ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, হাসপাতালে দুটি হুইলচেয়ার ও একটি স্ট্রেচার আছে। শ্রীভানিকে জানানো হয়েছিল কিছুক্ষণ পরেই এগুলো অভ্যর্থণা কক্ষে চলে আসবে। কিন্তু শ্রীভানি অপেক্ষা করতে নারাজ ছিলেন।

তবে শ্রীভানি জানিয়েছেন, প্রায়ই তাকে স্বামীর চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে আসতে হয়। এখানে হুইলচেয়ার পাওয়া অসম্ভব। এগুলো সবসময় কোনো না কোন কাজে থাকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গাড়ি ভাড়া না থাকায় ওড়িষায় দানা মাঝি নামে এক ব্যক্তিকে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছিল। তারপরেও কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি

ধর্ষণের শিকার হয়েছি নিজের লিভ ইন পার্টনারের কাছে!


প্রথম বার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নিজের লিভ ইন পার্টনারের কাছে। আর দ্বিতীয় বার এক পানশালার মালিকের হাতে।
অভিনয়ের জগতে পা দেওয়ার কিছুদিন পরই এই দুটি ঝড় বয়ে যায় তার জীবনে। আর এরপর চরম অবসাদে মাত্র ২২ বছরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তার পর জীবন বদলাতে শুরু করে আস্তে আস্তে। শেষমেশ আর চুপ থাকতে পারলেন না হলিউড অভিনেতা ইভান র‌্যাচেল উড।
নিজের দুঃসহ অতীতকে তুলে ধরলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গতকাল মঙ্গলবার টুইটারে একটি খোলা চিঠি লিখে ভক্তদের সব কথাই জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ‘রোলিং স্টোন’ ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাৎকারে সেই দুঃস্বপ্নের দিনগুলির কথা বলেছেন বর্তমানে ২৯ বছরের এই চোখধাঁধাঁনো সুন্দরী।
র‌্যাচেল জানান, অভিনয় জীবনের শুরুতেই তার সঙ্গে ওই ঘটনাগুলি ঘটেছিল।
তবে এত বছর পরে হঠাৎ মুখ খুললেন কেন? এই প্রশ্নে আমেরিকার জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজ ‘ওয়েস্টওয়ার্ল্ড’-এর অভিনেত্রী বলেন, আর চুপ করে থাকতে পারছিলাম না!” ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলেন, ওই ঘটনায় কোন ভাবেই আমার ‘দোষ’ ছিল না।
বাইসেক্সুয়াল হওয়ায় র‌্যাচেলের জীবনে পুরুষের পাশাপাশি নারীসঙ্গও এসেছে। নিজের অন্ধকার অতীত নিয়ে মুখ খুলতে প্রথম দিকে জড়তা থাকলেও এখন খোলাখুলিই জানাতে চান তার কথা। কিন্তু, এর আগে তিনি কোনও কথা জানাননি কেন?
র‌্যাচেল বলেন, ভয় ছিল, সবাই লে না বলে বসেন, এটা এমন কোনও বড় বিষয়ই নয়, আসলে পাবলিসিটির জন্যই আমি এ সব বলছি। অথবা কেউ যদি বলেন যে, ওগুলি আসলে ধর্ষণই নয়।

একাধিক গ্লোডেন গ্লোব ও এমি অ্যাওয়ার্ড মনোনীত র‌্যাচেলের অভিনয় জীবন শুরু টেলিভিশনের পর্দায়। মাত্র সাত বছর বয়সে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই ‘প্র্যাক্টিক্যাল ম্যাজিক’-এ অভিনয় দিয়ে নজর কাড়ে নর্থ ক্যারোলাইনায় বেড়ে ওঠা ছোট্ট র‌্যাচেল। ধীরে ধীরে ফিল্ম-টেলিভিশন মিলিয়ে লাইমলাইটে এসেছেন ‘ডাউন উইল কাম বেবি’, ‘প্রোফাইলার’, ‘ওয়ান্স অ্যান্ড এগেইন’, ‘মিসিং’, ‘থার্টিন’, ‘দ্য রেসলার’, ‘মিলড্রেড পিয়ার্স’ বা দ্য ‘আইডস অব মার্চ’-এ কাজের মাধ্যমে। তবে এই খ্যাতির আড়ালেই লুকিয়ে ছিল অন্ধকার দিনগুলি। মাত্র ২২-শেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সে সব ঘটনার কথা জানাতে গিয়েই র‌্যাচেল টুইটারে লিখেছেন, আমি মনে করি না, আমরা এখন এমন এক সময়ে বসবাস করি যেখানে মানুষজন বেশি দিন নিঃশ্চুপ হয়ে থাকতে পারেন। আমি তো চুপ করে থাকতে পারছিই না! যদিও জগৎ জুড়েই এখন এক ভয়ানক ধর্মান্ধতা আর সেক্সিজমের আবহাওয়া।
টুইটারে তার খোলা চিঠি পোস্ট করার পরই র‌্যাচেল জানান, আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিদায় নিতে চান তিনি। তবে তার কাহিনি শোনার পর র‌্যাচেলের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক ভক্ত।

কিশোরীর গর্ভে ১২ বছরের নাবালকের সন্তান!


১৮ বছর বয়স হওয়ার ঠিক দু’মাস আগে সন্তানসম্ভবা হয় এক কিশোরী। পরে অভিযোগে আটক করা হল ১২ বছরের নাবালককে। অভিযোগ, ওই নাবালকের ঔরসেই নাকি ওই কিশোরী সন্তান সম্ভবা। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরলের কোচিতে।
অভিযুক্ত ওই নাবালককে জ়ুভেইনাল জাস্টিস অ্যাক্টের ৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী আটক করেছে কালামাস্সারি থানার পুলিশ। পাশাপাশি যে হাসপাতালে ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করেছে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও শিশু যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ আইন বা POCSO(Protection of Children from Sexual Offences) ভাঙার অপরাধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অবশ্য ওই হাসপাতালের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, তারা কোনওরকম অন্যায় করেনি। কারণ ওই কিশোরী যখন তাদের কাছে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আসে তখন তার বয়স ১৮ পেরিয়ে গিয়েছিল। তাই এই আইনভঙ্গ করেনি তারা। ওই হাসপাতালের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা এই ব্যাপারে ওই কিশোরীর আত্মীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেই চাইল্ডলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই কিশোরীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও গত ৪ নভেম্বর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কোচির চাইল্ডলাইনের অধিকর্তা ফাদার টমি এস ডি বি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই গত ২ নভেম্বর সকালে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। আমরাও সঙ্গে সঙ্গে থ্রিকাকারা-র সহকারি পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানাই।

এদিকে কালামাস্সারির সার্কেল ইন্সপেক্টর (CI) জয়াকৃষ্ণান জানান, যে রাতে ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করে, ঠিক তার পরেরদিন সকালে বিষয়টি প্রথম জানানো হয়। আর তাই সঠিক সময়ে ঘটনাটির কথা না জানানোর জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পসকো আইনের ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই হাসপাতালের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটির কথা প্রশাসনকে জানানো। আর তা না করে অন্যায় করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই বিষয়ে অন্য কথা বলছেন চাইল্ডলাইন ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, পুলিশকে খবর দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। জ়ুভেইনাল জাস্টিস অ্যাক্টের আওতায় থাকা যে কোনও একটি সংস্থাকে খবর দিলেই হবে।
শেষপর্যন্ত সদ্যোজাত সন্তানটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই কিশোরীর অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, তারা ওই সন্তানটিকে মানুষ করতে ইচ্ছুক নন। ফলে সদ্যোজাত শিশুটির ঠাঁই হয়েছে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে।

সৌদি আরব পাঠানোর লোভ দেখিয়ে বড়লেখায় তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১


নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা থেকে বিদেশ পাঠানোর লোভ দেখিয়ে এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণ করেছে দুই দালাল। বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে উপজেলার কেছরীগুলস্থ দোকানটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ধর্ষক জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বড়ময়দান গ্রামের জনৈক তরুণীকে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দেয় পৌর শহরের সোনাপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান। বুধবার সন্ধ্যার পর আব্দুর রহমান বিদেশ পাঠানোর নামে ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। বুধবার রাত ৮টায় কেছরীগুল এলাকার দোকানটিলা নামক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে সহযোগি জামাল উদ্দিনসহ জোরপূর্বক ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর গভীর রাতে দুই ধর্ষক তরুণীকে একটি রিকশায় তোলে দিয়ে তারা চলে যায়।এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিতা বাদী হয়ে লম্পট আব্দুর রহমান ও জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা (নং-২২) করে। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে মামলার ২নং আসামী জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। সে পৌরসভার সোনাপুর গ্রামের হারুন আলীর ছেলে। বড়লেখা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সহিদুর রহমান আসামী গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

কুমিল্লায় তরুণীর লাশ উদ্ধার


কুমিল্লায় খালেদা আক্তার (১৭) নামে  এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।  সে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াপুর গ্রামের দিনমজুর আবুল হাসেমের মেয়ে।
শুক্রবার সকালে নগরীর আদালত সড়কের বায়তুল নাহার নামে একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়  কলেজ অধ্যক্ষের বাসা থেকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার কলেজের অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুলের ওই বাসায় খালেদা আক্তার (১৭) দীর্ঘ দিন ধরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাসায় খালেদা রহস্যজনকভাবে মারা যায়।
শুক্রবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

মেয়ের আকস্মিক মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামের বাড়িতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খালেদার হত-দরিদ্র বাবা আবুল হাসেম, মা ও স্বজনরা। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রব জানান,  ভিকটিমের গলায় দাগ রয়েছে। গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ মৃত্যুর নেপথ্য কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।








সাহসী এক শারমিনের গল্প


নিউজ ডেস্ক: ‘সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে শিউরে উঠি। বয়স কম হলেও এটুকু বুঝতে পারছিলাম, আমার ওপর যা হচ্ছে তা পুরোপুরি অন্যায়। আমার মায়ের ইচ্ছায়, পৃষ্ঠপোষকতায় সেই অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। একে তো আমার বিয়ের বয়স হয়নি।

হঠাৎ মা একদিন বললেন, “এই ছেলে তোর স্বামী, এখন থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে তোকে!” নিছক কৌতুক করে তিনি এটা বলেননি। সত্যি সত্যিই বলেছিলেন। সে মতো কাজও করলেন। আমাকে ওই ছেলের সঙ্গে একটি ঘরে থাকার নির্দেশ দিলেন। এমনকি ইচ্ছার বিরুদ্ধে এক ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে আটকেও রাখলেন। কিন্তু আমার তো বিয়ে হয়নি। বিয়ের বয়সও হয়নি। বিয়ের আয়োজন হয়নি, কবুল বলিনি, কোনো কাগজে সইও করিনি। কীভাবে এটা হলো। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।’ কথাগুলো শারমিন আক্তারের, যার বয়স মাত্র ১৪। সে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী।

৭ নভেম্বর যখন কথা হচ্ছিল শারমিনের সঙ্গে, তখন তার এই অভিজ্ঞতার কথা যেন থামে না। সে বলে, ‘আমি বিয়ের ব্যাপারে শুরুতেই মাকে না করে দিই। কিন্তু মা কিছুতেই এটা মানেননি বরং চাপ প্রয়োগ করেছেন। শারীরিক নির্যাতন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি কী করব, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাবা বিদেশে থাকেন। কার কাছে যাব, কী করব, সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। একবার চিন্তা করি আত্মহনন করে এই নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্ত হব। আবার ভাবি, এটাও হবে হেরে যাওয়া।’
কিন্তু হেরে গেলে তো চলবে না। তাই এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে শারমিন। ‘সিদ্ধান্ত নিই, যে করেই হোক আমাকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরপর নিজে থেকেই সাহসী হলাম। একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানাই। এরপর চলে যাই সরাসরি থানায়। মা আর ওই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করি।’

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সত্যনগর গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে শারমিন। মা গোলেনূর বেগম। কবির হোসেন সৌদিপ্রবাসী হওয়ায় শারমিনকে নিয়ে তার মা গোলেনূর রাজাপুর শহরের থানা সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
২০১৫ সালের জুলাই মাসের কথা। শারমিন তখন রাজাপুর পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মা গোলেনূর এই বয়সেই শারমিনের বিয়ে ঠিক করেন প্রতিবেশী স্বপন খলিফার (৩২) সঙ্গে। শারমিন মায়ের এই সিদ্ধান্তে রাজি না হওয়ায় নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এতেও টলেনি সে। পরে শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। এতেও রাজি না হওয়ায় একদিন ওই ছেলেকে (স্বপন) বাড়িতে এনে শারমিনকে তার মা বলে দেন, ‘এই ছেলে তোর স্বামী। ওর সঙ্গে তোর বিয়ে হয়েছে। এখন ওর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হবে।’ মায়ের কথা শুনে শারমিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। স্কুলে আসা বন্ধ করে বাসার মধ্যে আটকে রাখা হলো তাকে। বাইরে গেলেও ছিল কড়া নজরদারি।

২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। শারমিনকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে তার মা খুলনায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দূর সম্পর্কের এক মামার বাড়িতে তোলেন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন স্বপন। রাতে শারমিনকে ওই বাসায় স্বপন খলিফার সঙ্গে এক কক্ষে থাকার জন্য তার মা চাপ দিচ্ছিলেন। তাতে সম্মত না হওয়ায় মারধর করে তাকে (শারমিন) জোর করে স্বপনের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেন। ৭ আগস্ট সকালে শারমিন ওই বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে রাজাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনের পিছু নেন। পিরোজপুরে এসে কথিত স্বামী স্বপন ও তাঁর লোকজন শারমিনকে ধরে ফেলেন এবং বাস থেকে নামিয়ে রাজাপুরে নিয়ে যান। এখানে এনে শারমিনদের থানা সড়কের বাড়িতে আটকে রাখেন।

১৬ আগস্ট এই বন্দিদশা থেকে পালিয়ে সহপাঠী নাদিরা আক্তারের বাড়িতে যায় এবং সব খুলে বলে। এরপর দুজনে মিলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় সরাসরি ওই দিন রাতে রাজাপুর থানায় হাজির হয়। মা ও কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। পরে পুলিশ শারমিনের মা গোলেনূর বেগম ও কথিত স্বামী স্বপন খলিফাকে গ্রেপ্তার করে। আর তাকে ঝালকাঠির জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শফিকুল করিম তার দাদি দেলোয়ারা বেগমের জিম্মায় দেন। এরপর থেকে সে দাদির কাছে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। শারমিনের এই সাহসিকতার জন্য স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশন ২০১৫ সালে তাকে স্বর্ণকিশোরী পুরস্কার দেয়।
এখন লক্ষ্য কী? শারমিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলে, ‘আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা আছে। আর বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে চাই।’

তার দাদি দেলোয়ারা বেগম এখন শারমিনকে নিয়ে এই বাড়িতেই থাকেন। সবুজ ছায়াঘেরা সত্যনগর গ্রামে তাদের বাড়িটা বেশ নির্জন-নিরিবিলি। দেলোয়ারা বেগম বললেন, ‘ওরে নিয়া খুব চিন্তা আমার। প্রতিদিন স্কুলে নিয়া যাই, আবার সঙ্গে নিয়া আসি। বাইরে কোথাও গেলে সঙ্গে যাই। ওর জীবনটা ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল ওর মা। খুব সাহস করে একাই এর প্রতিবাদ করেছে। শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এখন সবাই ওকে নিয়ে গর্ব করে। আমরাও গর্বিত।’
শারমিনকে সাহায্য করেছিল সহপাঠী নাদিরা আক্তার। সে বলল, ‘ভালো লাগছে ওর দুঃসময়ে আমি পাশে ছিলাম।’
সত্যনগর গ্রামের ছোট্ট খালের পাড় ধরে ফেরার সময় পশ্চিমাকাশে গোধূলির রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ছিল। কুয়াশায় ধূসর হয়ে উঠছিল সবুজ গ্রাম। তখনো কানে বাজছিল শারমিনের সাহসিকতার গল্প।প্রথম আলো








শার্লিনের চুমু থেকে যৌনতা সবকিছুই নিখুঁত


রোমান্টিক শুধু নয়। যৌনতাও ষোলোআনা উপস্থিত। 'ওয়াজা তুম হো’র নতুন গান দিল মে ছুপা লুঙ্গা-এ রজনীশ দুগ্গল, শার্লিন চোপড়া আর সানা খান।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দিল মে ছুপা লুঙ্গা। দেব আনন্দ ও জিনাত আমানের ডার্লিং ডার্লিং ছবিতে যে গানটি ছিল, এটি সেই গানটি। তবে রিমেক্স। সেই গানটি গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। আর এখানে গানটি গেয়েছেন মিত ব্রোজ ও আরমান। গানের লিরিক্সও কিছু পালটেছে।

গানের প্রথমে দেখানো হয়েছে জীবন ও প্রেমকে উপভোগ করার কথা। তারপরই আছে যৌনতার হাতছানি। পুরো গানে শার্লিন চোপড়া আর রজনীশ দুগ্গলের দৃশ্যগুলি 'এক সে বড়কর এক'। ভারতীয় কোনো ছবিতে এত সাহসী দৃশ্য আগে কতগুলো দেখা গেছে, হাতে গুনে বলে দেওয়া যায়। শার্লিন চোপড়াকেও এই অবতারে আগে কখনও দেখা যায়নি। এখানে তিনি যতটা সহসী, ততটাই আবেদনময়ী। গানের শুরুতে সেই যে শার্লিন পোশাক খুলেছেন, শেষ পর্যন্ত পরেননি। শার্টলেস রজনীশও অসাধারণ। গানটি রিলিজের পর তাঁর নারী ফ্যান ফলোয়িং যে বেড়ে যাবে, তাতে সন্দেহ নেই।

গানটি আসনে সানা খান ও রজনীশ দুগ্গলের প্রেম নিয়ে তৈরি। সানাকে ফ্যান্টাসাইজ় করছেন রজনীশ। কিন্তু তাঁর সামনে শার্লিন। এক অদ্ভুত প্রেমের কথা উঠে এসেছে দিল মে ছুপা লুঙ্গা গানে। গানের প্রতিটি লাভ মেকিং সিন প্যাশনেট। চুমু থেকে যৌনতা, সবই যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। টেবিল, সুইমিং পুল, বিছানা, সব জায়গাতেই অসাধারণ শার্লিন ও রজনীশ।
২ ডিসেম্বর রিলিজ করছে ওয়াজা তুম হো। ছবিতে অভিনয় করেছেন গুরমিত চৌধুরী, রজনীশ দুগ্গল, সানা খান, শরমান যোশি ও শার্লিন চোপড়া। একটি আইটেম নাম্বারে দেখা যাবে জারিন খানকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিশাল পান্ডে।







মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬

‘সেনারা পুরুষদেরকে তুলে নিয়ে যায়, ছেলেদের হত্যা, সুন্দরী মেয়েদের ধর্ষণ করে’



তারা আসছে হাজার হাজার। মিয়ানমার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢল নামছে বাংলাদেশ সীমান্তে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতা থেকে বাঁচতে তারা পালাচ্ছে।
কয়েকজন শরণার্থী বলছেন, তারা ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা চোখের সামনে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের খুন করতে এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতে দেখেছেন। লালু বেগম বলেছেন, যদি মিয়ানমার সেনা দশ বছরের বেশি বয়সী কোনও ছেলেকে পায় তাহলে তাকে হত্যা করে ফেলে। পুরুষদেরকেও সেনা সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, যখন সেনাবাহিনী আসতো তখন আমরা আমাদের ঘর থেকে পালিয়ে যেতাম। আমি জানি না আমার স্বামী বেঁচে আছে না মরে গেছে।

জাতিঘত নিধন
লালু বেগম বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় কক্সবাজার জেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত আছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাখাইনে তার গ্রামের বহু নারীকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ধর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, যখনই সেনা সদস্যরা কোনও সুন্দরী রোহিঙ্গা মেয়েকে দেখতে পায় তখনই তার কাছে পানি পান করার কথা বলে ঘরে ঢুকে পড়ে তাদের ধর্ষণ করে। রাখাইনে আনুমানিক দশ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে। সেখানে তারা রাষ্ট্রহীন আদিবাসী সংখ্যালঘু হিসেবে নিপীড়িত হচ্ছে।
রোহিঙ্গরা বহু প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসলেও দেশটির সরকার তাদের নাগরিকতার স্বীকৃতি না দিয়ে তাদের অবৈধ বাঙালি অভিবাসী বলে অপবাদ দিচ্ছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলেছেন, রোহিঙ্গারা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত মানুষ। তিনি বলেছেন, এটি প্রতীয়মান যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জনগণকে জাতিগতভাবে নিধন করছে।

মৃত্যুর রাস্তা
কুতুপালংয়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলেছেন, তারা মধ্যরাতে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। এরপর সেনাবাহিনীর চোখ এড়িয়ে পায়ে হেটে গ্রামের পর অতিক্রম করে নাফ নদী পেড়িয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তারা।
লালু বেগম বলেন, বাংলাদেশে আসতে আমার চারদিন লেগেছে। যখন আমাদের গ্রামের পুড়িয়ে দেয়া হলো, তখন আমরা আরেকটি গ্রামে আশ্রয় নেই এবং ক্রমাগত নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকি। এভাবে এক পর্যায়ে আমরা নাফ নদীর তীরে পৌঁছে যাই। বিপজ্জনক এই যাত্রায় অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে ফেলেছেন।
লালু বেগমের বোন নাসিমা খাতুন বলেন, যখন আমরা যাত্রা শুরু করি তখন আমাদের সঙ্গে ছয়জন ছিল। এরপর আমরা পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে ফেলি।
নাসিমা বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে নিহত হয়েছে। আরেক ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যায় না।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন বলছে, শরণার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া এসব খবর এবং রাখাইনে সহিংসতা ও হতাহতের দৃশ্য সম্বলিত যেসব ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তার সত্যতা তারা স্বাধীনভাবে খতিয়ে দেখতে পারেনি।

জাতিসংঘের মতে, রাখাইনে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাটি অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, যেখানে সংবাদমাধ্যম এবং দাতা সংস্থাগুলোকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তা জন ম্যাককিসিক বলেন, আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলেছি রোহিঙ্গাদের এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দিতে, তাহলে আমরা হিসাব করতে পারতাম যে সেখানে আসলে কতজন মানুষ মারা গেছে।
তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি শরণার্থীরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে জঙ্গলে, প্রধান সড়কে, গ্রামে এবং অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে, বলেন ম্যাককিসিক।

অনৈতিক সম্পর্কে বাঁধা দেয়ার ‘অপরাধে’ স্বামীকে আগুনে পুড়ে বস্তায় ভরে হত্যার চেষ্টা এক পাষণ্ডী স্ত্রীর!

স্ত্রীর পরকিয়ার বলি স্বামী

পরিচয় পাওয়া গেছে সেই অজ্ঞাতনামা বস্তার ভিতরে পাওয়া আহত মানুষটির। নাম এনছান আলী (৪২)। পেসায় চা বিক্রেতা ।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ব্রামন পাড়া গ্রামের মানিক খানের ছেলে।
আহত এনছান খান ও পুলিশ দেওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায় সে ও স্ত্রী রত্না বেগম (২২)  এবং এক মাত্র ছেলে রবিউল খানকে নিয়ে গাজীপুর ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার স্ত্রী একটি গার্মেনটসে চাকরি করেন। অন্যদিকে, এনছান একটি চায়ের দোকান করেন
এনছানের পারিবারিক সুরমতে, স্ত্রী রত্না বেগম গার্মেনটসে চাকরি করার সুবাদে সেখানে একজন উর্ধতন  কর্মকর্তার সাথে তার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে আর সেই সম্পর্ক এনছান খান জানতে পেরে স্ত্রী কে গার্মেনটসে চাকরি করতে নিষেধ করেন। পরে রত্না বেগম কৌশলে স্বামী এনছানকে ফেরানোর কথা বলে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলাতে  নিয়ে আসে।
ঘটনার দিন গত ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় গোয়ালন্দ বাজার এলাকার একটি মসজিদের সামনে বাস থেকে নামেন স্ত্রী রত্না ও এনছের সাথে তার ৫ বছরের সন্তান ছিলো।
পরে রত্না বেগম বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে স্বামী এনছান কে বসিয়ে রেখে ১ঘন্টা পরে আসেন সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে আল্লাদিপুর নতুন ব্রিজ এলাকায় এনে আগে থেকেই ঠিক করে রাখা ভাড়া টিয়া গুন্ডা ও গাজীপুর এক বাসায় থাকা দুজন মহিলা কে দিয়ে পিটিয়ে জখম করে মুখে কেরশিন তেল ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে কিন্তু তেল ঢালার সাথে সাথে এনছান অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মৃত ভেবে বস্তায় ভরে ফেলে যায় স্ত্রী ও ভাড়া টিয়া গুন্ডারা।
পরে পুলিশ রাতে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।












খাদিজাকে সিআরপিতে স্থানান্তর

সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত খাদিজা আক্তার নার্গিসকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিআরপিতে নেওয়া হয়। এ সময় খাদিজার বাবা মাসুক মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। স্কয়ার হাসপাতালের সামনে থেকে তোলা।





নেদারল্যান্ডসে আংশিক নিষিদ্ধ হচ্ছে বোরকা, সংসদে অনুমোদন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্কুল, হাসপাতাল বা জনপরিবহনের মত স্থানে নিকাব এবং বোরকা পরে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করার এক প্রস্তাব নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষ অনুমোদন করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, যে সব জায়গায় পরিচয় দেওয়া আবশ্যক শুধু সেসব জায়গায় নিকাব বা বোরকা পরে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ হবে। তবে রাস্তাঘাটে বোরকা এখন নিষিদ্ধ হচ্ছেনা।আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ ৪১০ ইউরো 

জরিমানা হতে পারে। তবে এই প্রস্তাবে সংসদের উচ্চ-কক্ষ সেনেটেরও অনুমোদন লাগবে।নেদারল্যান্ডসে খুব কম সংখ্যক মুসলিম মহিলা বোরকা পরেন। এক হিসাবে এই সংখ্যা বড়জোর পাঁচশ হবে।তবে কট্টর দক্ষিণপন্থি দল ফ্রিডম পার্টি অনেকদিন ধরে বোরকা নিষিদ্ধ করার দাবি করছে। এই দলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, এবং আগামী মার্চের নির্বাচনে দলটিকে নিয়ে দেশের মূলধারার দলগুলো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।  বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৫০ সদস্যের সংসদের ১৩২ জনই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। এমনকি ক্ষমতাসীন উদারপন্থী দলগুলোর কোয়ালিশন দলগুলোও পক্ষে ভোট দেয়। ফ্রান্সে গত কয়েকবছর ধরে প্রকাশ্য জায়গায় নিকাব নিষিদ্ধ।-বিবিসি 


২ কেজি চালের দামে সন্তান বেচতে চান ক্ষুধার্ত সিরিয়ীয় মা


এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : চারদিকে হাহাকার আর হাহাকার। বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে। ঘরে-বাইরে পথে-ঘাটে, সর্বত্র কঙ্কাল লাশ। এক মুঠো খাবার নেই, পানি নেই, নেই ন্যূনতম ওষুধও। শরীরে এক তোলা মাংস নেই, কঙ্কালসা মানুষগোলো। তাদের চেহারা দেখলে চমকে উঠতে বাধ্য হবেন যে কেউ। আর সদ্যোজাত সন্তানদের দিকে তো চোখ ফেরানোই ভার। ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের এই উক্তির দেখা মিলবে সিরিয়ায়। ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করছে জীবিত 

মানুষগুলো। তাই মায়ের কাছেও সন্তান নিরাপদ নয়। কেননা মাত্র দু’কেজি চালের আশায় বুকের সন্তানকে বেচে দিতে চান মা। কিন্তু কিনবে কে? ক্রেতা নেই। বছর খানেক আগে কিন্তু তাদের অবস্থা এমন ছিল না। তারা ছিল এক সমৃদ্ধ দেশের গর্বিত নাগরিক। কোথাও অভাব ছিল না। স্বৈরশাসনের অবসানে সিরিয়াজুড়ে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। ক্রমশ দেশের বিস্তীর্ণ অংশের দখল নিতে শুরু করে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বন্দুকের চোখরাঙানি তো ছিলই, এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হলল খিদের লড়াই। সিরিয়ার সপ্তম বড় শহর ডেয়ার এজ্‌র। তেল উৎপাদনে প্রথম সারিতে ছিল যে শহর, এখন সেখানে শুধুই হাহাকার। প্রত্যেক দিন একের পর এক শিশু অনাহারে, অপুষ্টিতে ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে। একই অবস্থা আর এক শহর মাদায়ার। কিছু দিন আগেও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পাহাড়ি শহরে এখন শুধুই হাড়গিলে মানুষের সারি।
পরিসংখ্যান বলছে, সিরিয়ার এই সব এলাকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন মাত্র এক শতাংশ মানুষ। সব থেকে খারাপ অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। খাবারের অভাবে মরছে শিশু আর ওষুধের অভাবে মারা যাচ্ছেন বয়স্করা। 

বাজারে চড়া দামে খাবার বিকোচ্ছে অথচ রুটি-রুজির অভাবে সাধারণ মানুষের পকেট একেবারেই খালি। আইএসের হাতে বন্দি সিরিয়া এখন অচল। সিরিয়ায় তবে আছেটা কী ? হাহাকার আছে। গুলি-বোমা-বন্দুক আছে, ধর্মের নামে আইএসের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির আছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়াবাসীর জন্য রেশনের বন্দোবস্ত করলেও সেই সামান্য খাবার ফুরিয়েছে এক মাসেই। রাশিয়া থেকেও এসেছিল সাহায্য। তবু অনাহার মেটেনি। এখন সিরিয়াবাসীর কাছে বাঁচার রাস্তা একটাই— ছাড়তে হবে দেশ। তারপরেও থাকবে পালাতে গিয়ে প্রাণ হারানো আলান কুর্দির মতো শিশুরা। থাকবে শরণার্থী হয়ে টিকে থাকার প্রচণ্ড এক লড়াই। আপাতত সে সব ভাবার অবকাশ নেই ডেয়ার এজ‌্‌র, মাদায়ার মতো শহরের বাসিন্দাদের। তিন মাস হলো পৃথিবীর আলো দেখার সুজোগ পেয়েছিল ছোট্ট আকব। বাজারে আকাশছোঁয়া দামের শিশুখাদ্য কিনে উঠতে পারেননি আকবের মা-বাবা। অপুষ্টিজনিত কারণে মা-ও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারতেন না। তাই বাধ্য হয়েই গাছের রস খাইয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন কোলের সন্তানকে। পারেননি। রক্তাল্পতায় ভুগে মারা যায় আকব। তার মতোই আরও অসংখ্য শিশুর হয়তো এখন এটাই ভবিতব্য। এই সব রুগ্ন, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুর ছবি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চমকে উঠেছে 

দুনিয়া। কয়েক মাস আগেই আইএসের কব্জা থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রের বিক্রেতা আবু জুলফিয়ান। তাঁর কথায়, ‘দুপুরের খাওয়া— এই শব্দগুলোই যেন সিরিয়াবাসীর কাছে অলীক এখন। বুনো গাছ থেকে কুকুর, বেড়াল, গাধা— এ সব অখাদ্যও এখন খিদে মেটাচ্ছে।’ গৃহযুদ্ধের বাজারে খাবারের দাম এতটাই চড়েছে যে তার নাগাল পাওয়া মাদায়া বা ডেয়ার এজ্‌রের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। আগে যে চালের দাম ছিল ২০ টাকা, আজ সেই চাল বিকোচ্ছে ২৮০০ টাকায়। রান্নার তেলের দাম আগে ছিল লিটার পিছু ৩৫ টাকা, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। গত নভেম্বর থেকেই গোটা দেশের কোথাও এতটুকু পাঁউরুটি পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জন্য জলের সরবরাহও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের জন্য ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মানুষকে। জুলফিয়ানের মতো গুটিকতক মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে বেঁচেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ সিরিয়াবাসীই প্রতিনিয়ত জন্তু-জানোয়ারের মতো লড়ে চলেছেন খিদের সঙ্গে। খাবারের অভাবে মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে গিয়েছে। মাদায়া ও  ডেয়ার এজ্‌রে অনাহারে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো শিশুর। হাসপাতালে আরও কয়েক হাজার মৃতপ্রায় শিশুর ভিড় বলে দিচ্ছে, এই মৃত্যুমিছিল সহজে থামছে না!