পেশাগত জেলে
রসরাজের নামে ফেসবুকে আইডি খুলে,এইআইডি
থেকে ২৮/১০/২০১৬ একটি বিতর্কিত ছবি
আপলোড
দেওয়া হয়।
ছবিটি আপলোড দেওয়ার সাথে সাথে দেওয়ান
আতিকুর রহমান আঁখি ছবিটি প্রিন্ট আউট করে
কয়েক
হাজার কপি ছাপিয়ে ফেলে। পরে রাতে ছাপানো
এই লিফলেট গুলো আঁখি তার হরিপুর জামে
মসজিদের ইমাম মাওলানা জয়নাল ও আঁখির ভাতিজাদের
মাধ্যমে বিভিন্ন মসজিদ,মাদ্রাসা,জনগনের হাতে
ছেড়ে দেয়। তখন আঁখি তার লোকজন নিয়ে
এসে রসরাজকে ধরে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ
করে।
রসরাজকে পুলিশে সোপর্দ করার পর তার আইডি
থেকে সুন্দর একটি স্ট্যাটাস দুুঃখ প্রকাশ করে
দেওয়া হয় রসরাজের নামে। যে স্ট্যাটাসের
একটি
বানান,দাঁড়ি,কমারও কোন ভুল নেই। অথচ রসরাজ
ক্লাস
ফাইভ পর্যন্তও পড়াশোনা করেনি। পরদিন
২৯/১০/২০১৬ শনিবার আঁখির মসজিদের ইমামকে
দিয়ে
মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লোকজন
জড়ো করা হয় এবং তাদের উত্তেজিত করা হয়।
জেলার দুই নেতার পরিকল্পনা অনুযায়ী আঁখি
উত্তেজিত জনতাকে দিয়ে হরিপুর ও হরিণবেড়
গ্রামে হিন্দুদের উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়।
ধ্বংস
ও লুটপাট করা হয় বহু বাড়িঘর,মন্দির।
তারপর দিন ৩০/১০/২০১৬ রবিবারে জেলা আওয়ামী
লীগের দুই নেতার পরিকল্পনা অনুযায়ী,নাসিরনগর
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম
মনিরুজ্জামানের মাধ্যমে ইসলামী দুটি সংগঠনের
দুটি
সমাবেশ হয়। যার একটিতে মনির নিজে উপস্থিত
হয়ে উত্তেজিত বক্তৃতা দেয়। তখন দুটি সমাবেশ
থেকে এক সাথে নাসিরনগর সদরের হিন্দুদের
উপর আক্রমন চালানো হয়। মনিরের তত্ত্বাবধানে
হামলা,লুটপাট খুব সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়। মনিরের
পরিচালনায় যে হামলা হয় সেখানে লোক দিয়ে
সাহায্য করেন আঁখি ও জেলা মহিলা আওয়ামী
লীগের যুগ্ম-আহবায়ক নাসিরনগরের বুড়িশ্বর
গ্রামের এমবি কানিজ। নাসিরনগরে হামলার দিন জেলা
প্রশাসন জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার
ঈশারায় নিরব ছিল। জেলা প্রশাসনকে ঘটনা স্থানীয়
লোকজন জানানোর পরও তারা কোন ব্যাবস্থা
নেয়নি। উল্টো তারা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে।
২/১১/২০১৬ বুধবার রাতে আবার জেলার দুই নেতার
নির্দেশ এবং পরিকল্পনায় মনিরের মাধ্যমে ১১ টি
বাড়ি
ও ১ টি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন