বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৬

কিশোরীর গর্ভে ১২ বছরের নাবালকের সন্তান!


১৮ বছর বয়স হওয়ার ঠিক দু’মাস আগে সন্তানসম্ভবা হয় এক কিশোরী। পরে অভিযোগে আটক করা হল ১২ বছরের নাবালককে। অভিযোগ, ওই নাবালকের ঔরসেই নাকি ওই কিশোরী সন্তান সম্ভবা। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরলের কোচিতে।
অভিযুক্ত ওই নাবালককে জ়ুভেইনাল জাস্টিস অ্যাক্টের ৭৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী আটক করেছে কালামাস্সারি থানার পুলিশ। পাশাপাশি যে হাসপাতালে ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করেছে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেও শিশু যৌন হেনস্থা প্রতিরোধ আইন বা POCSO(Protection of Children from Sexual Offences) ভাঙার অপরাধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অবশ্য ওই হাসপাতালের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, তারা কোনওরকম অন্যায় করেনি। কারণ ওই কিশোরী যখন তাদের কাছে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে আসে তখন তার বয়স ১৮ পেরিয়ে গিয়েছিল। তাই এই আইনভঙ্গ করেনি তারা। ওই হাসপাতালের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা এই ব্যাপারে ওই কিশোরীর আত্মীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেই চাইল্ডলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই কিশোরীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রও গত ৪ নভেম্বর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কোচির চাইল্ডলাইনের অধিকর্তা ফাদার টমি এস ডি বি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই গত ২ নভেম্বর সকালে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছে। আমরাও সঙ্গে সঙ্গে থ্রিকাকারা-র সহকারি পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানাই।

এদিকে কালামাস্সারির সার্কেল ইন্সপেক্টর (CI) জয়াকৃষ্ণান জানান, যে রাতে ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করে, ঠিক তার পরেরদিন সকালে বিষয়টি প্রথম জানানো হয়। আর তাই সঠিক সময়ে ঘটনাটির কথা না জানানোর জন্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পসকো আইনের ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী ওই হাসপাতালের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটির কথা প্রশাসনকে জানানো। আর তা না করে অন্যায় করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এই বিষয়ে অন্য কথা বলছেন চাইল্ডলাইন ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের আধিকারিকরা। তাঁদের কথায়, পুলিশকে খবর দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। জ়ুভেইনাল জাস্টিস অ্যাক্টের আওতায় থাকা যে কোনও একটি সংস্থাকে খবর দিলেই হবে।
শেষপর্যন্ত সদ্যোজাত সন্তানটিকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছেন ওই কিশোরীর অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, তারা ওই সন্তানটিকে মানুষ করতে ইচ্ছুক নন। ফলে সদ্যোজাত শিশুটির ঠাঁই হয়েছে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন