সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

ফেসবুকে পবিত্র কাবা নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র পোস্ট কারি রসরাজ দাস এর বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ (ভিডিও)


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে ইসলাম-বিদ্বেষী ছবির জেরে মন্দিরে হামলা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার পর থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই ভাঙচুর-লুটপাটের সময় অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষকে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ব্যক্তির আপত্তিকর একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এই হামলা হয়েছে।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেসবুকে পবিত্র কাবা নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। শনিবার বিকেল থেকে ওই পোস্টের প্রতিবাদে নাসিরনগর উপজেলায় বিক্ষোভ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রসরাজ দাস (৩০) নামের এক যুবকের শাস্তির দাবি জানায় উপজেলার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও ‘বিক্ষুব্ধ জনতা’। তারা ওই যুবকের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় রসরাজকে আটকও করে।

পুলিশ আটক করার আগেই শনিবার সকালে ফেসবুকে আগের পোস্টগুলো মুছে ফেলেন রসরাজ দাস। সে সময় তিনি একটি পোস্ট দিয়ে জানান, কে বা কারা তাঁর আইডি হ্যাক করে পবিত্র কাবা নিয়ে অপকর্মটি করেছে।

এরই মধ্যে আজ রোববার সকালে আটক ওই যুবকের ফাঁসির দাবিতে নাসিরনগরে স্থানীয় ‘তৌহিদী জনতার’ উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিল থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও ছয়টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘উসকানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলে দুই প্লাটুন বিজিবি, এক প্লাটুন র‌্যাব ও দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এবার ক্ষতবিক্ষত জাকিয়া



বখাটে যুবকের চাপাতির কোপে ক্ষত-বিক্ষত অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা। অথচ আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তার জেএসসি পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় জাকিয়ার সিটটি থাকবে ফাঁকা।
রাজধানীর পিলখানা বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের স্কুলছাত্রী জাকিয়া সুলতানার সারা শরীরে চাপাতির ৪০টি কোপ। মেয়েকে সুস্থ করে তোলার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার পরিবার, চিকিৎসায় নিঃশেষিত হয়েছে শেষ সঞ্চয়টুকু। তবু মেয়েকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে চান বাবা মো. জমসেদ আলী।
এলাকাবাসী জানায়, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের মো. ইব্রাহিম চৌধুরী নামে এক বখাটে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার মিলরোড লেবার লাইন পাড়ায় স্কুলছাত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই দিন দুপুরে উপজেলার ছটকুর মোড় এলাকা থেকে ওই বখাটেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের মিলরোড লেবার লাইন পাড়ার বাসিন্দা ও সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত বিজিবি সদস্য মো. জমসেদ আলীর জ্যেষ্ঠ কন্যা জাকিয়া সুলতানা। সেতাবগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমি মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আমগাঁও গ্রামে পৈতৃক বাড়ি হলেও বোচাগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকতেন জমসেদ আলীর পরিবার।

যেভাবে নগ্ন ভিডিও ফাঁসের হুমকিঃ রুখে দিলো এক তরুণী!

এক শুক্রবার সকাল নয়টায় ২৬ বছরের তারুণা আসওয়ানির কাছে একটি ইমেল এলো। লোকটি ইমেলে তার পরিচয় লিখেছে ‘কেভিন জন’। ইমেল পড়ে চমকে উঠলেন তারুণা। কেভিন জন দাবি করছেন, তারুণার নগ্ন ভিডিও এবং ছবি হাতে পেয়েছেন তিনি। তারুণার ক্লাউড একাউন্ট হ্যাক করে সেখান থেকে এসব ছবি এবং ভিডিও ডাউনলোড করেছেন তিনি। বছর পাঁচেক আগে তারুণা এসব ছবি তুলেছিলেন শুধুমাত্র তার বয়ফ্রেন্ডকে দেখাবেন বলে।
ইমেলে কেভিন এসব ছবি ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়ে লিখলেন, তারুণা যদি তার আরও নগ্ন ভিডিও পাঠায়, তবেই কেবল তিনি নিরস্ত হবেন।
তারুণা আসওয়ানি ভারতীয় নাগরিক। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে। সেখানে ফিজিক্যাল থেরাপিষ্ট হিসেবে কাজ করেন। এই ইমেল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এফবিআই-র সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করলেন।কিন্তু এফবিআই কোন ব্যবস্থা নেয়ার আগেই আবার কেভিন জনের কাছ থেকে হুমকি এলো। এবারের ইমেলে বলা হলো, কথামতো আরও নগ্ন ভিডিও তুলে না পাঠালে তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে থাকা সবার কাছে তারুণার নগ্ন ভিডিও পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তারুণা আসওয়ানি তখন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি কী করবেন।তিনি জানান, “কেউ আমার জন্য কিছু একটা করবে, এটা ভেবে বসে থাকতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম,আমার নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। শীঘ্রই। এই লোকটার কথা শুনে মনে হচ্ছে, সে সিরিয়াস। আমার ছবি ফাঁস করে দেবে। আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আমি শলাপরামর্শ করলাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম, এর বিরুদ্ধে আমি প্রকাশ্যেই লড়াই করবো।”ফেসবুকে একটা পোস্টে তারুণা পুরো কাহিনী বর্ণনা করে লিখলেন, তিনি কেভিন জনের ব্লাকমেলিং এর কাছে নতি স্বীকার করবেন না। শুধু তাই না, তিনি কেভিন জনের পাঠানো ইমেল, ইমেল ঠিকানা, সব প্রকাশ করে দিলেন। তারুণার ফেসবুক পোস্টটি শেয়ার হলো চার হাজার বার।”আমার নগ্ন ভিডিওটি হয়তো খুবই বিব্রতকর ছিল আমার জন্য। কিন্তু তারপরও আমি এই লোকের ব্লাকমেলিং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।”
তারুণা তাঁর ফেসবুকে লিখলেন, “আমি এই কাজ করছি যাতে আমার মতো পরিস্থিতির শিকার আরও যেসব মেয়ে, তারাও যেন এখাবে রুখে দাঁড়ানোর সাহস পায়।”
এই ফেসবুক পোস্টের পর অভূতপূর্ব সাড়া পেলেন তারুণা। বহু মানুষ তার সাহসের প্রশংসা করে তাকে বার্তা পাঠালেন।”বহু মেয়ের কাছ থেকে আমি অনেক মেসেজ পেয়ে বুঝতে পারলাম আমার মত অবস্থায় আছে আরও অনেকে। তখন আমার মনে হলো, আমি শুধু নিজের জন্য এই লড়াই করছি না, এই লড়াই আমার মতো আরও অনেক মেয়ের জন্য।”
ফেসবুকে বেশিরভাগ মেসেজই ছিল ইতিবাচক। তবে কিছু মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করতে ছাড়েনি।”কেউ কেউ আমাকে ‘খারাপ মেয়ে’ বলে গালি দিয়েছিল। কেউ কেউ বলেছিল আমি খ্যাতির লোভে এই কাজ করেছি।””অনেকে প্রশ্ন করেছে, আমি কেন এরকম ছবি ক্লাউড একাউন্টে রেখেছি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনার জীবন সঙ্গী যদি বহুদূরে থাকেন, তখন তার সঙ্গে শেয়ার করার জন্য এরকম ছবি রাখার মধ্যে আমি খারাপ কিছু দেখি না।”
তারুণা আসওয়ানি তাঁর বয়ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে পূণ সমর্থন পেয়েছেন এই কাজে।মুম্বাইতে নিজের বাবা-মা পরিবারও তাকে পুরোপুরি সমর্থন করেছে।”আমার বাবা-মা প্রথমে খুব ভয় পেয়ে গেলেন। তারা অসহায় বোধ করছিলেন। তারা যখন আমার কাছ থেকে বহুদূরে, এবং এই সংকটে আমার পাশে থাকতে পারছেন না, তখন এরকম বোধ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এ্‌ই ব্লাকমেলিং এর বিরুদ্ধে যে অবস্থান আমি নিয়েছি, তার প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছিলেন তারা।
তবে তারুণা ফেসবুকে বিষয়টি প্রকাশ করার পর কেভিন জনের কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। তারুণার সঙ্গেও সে আর কোন যোগাযোগের চেষ্টা করেনি।
তারুণা মনে করেন, ভারতের মেয়েদের এখন সময় এসেছে লোকলজ্জার ভয় কাটিয়ে এ ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।
“আপনি যদি মনে করেন, আপনি সঠিক, তাহলে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলুন।”

৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অপরাধে এক দোকানদারকে ১ বছরের কারাদন্ড


নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসূলগঞ্জ বাজারে ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আব্দুল মোহিত নামের এক দোকানদারকে ১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক,

আজ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভ্রারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জীতেন্দ্র কুমার নাথ উক্ত দন্ডাদেশ দেন। দন্ডদেশপ্রাপ্ত ৪ সন্তানের জনক আব্দুল মোহিত একই ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের মৃত আঃ মতিনের ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রসূলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সামাদুল হক চৌধুরীর জনৈক কন্যা রসূলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১০) আজ সকালে স্থানীয় রসূলগঞ্জ বাজারে আব্দুল মোহিতের মুদির দোকানে ডাল ক্রয় করতে যায়। এ সময় দোকানদার আব্দুল মোহিত ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরে তার বাবা সাথে সাথে দোকানে গেলে দেখতে পান দোকানদার মোহিত ঘটনার পর পরই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
এরপর স্কুল ছাত্রীর পিতা সামাদুল হক চৌধুরী ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীতেন্দ্র কুমার নাথকে জানান। অভিযোগ পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে থানার এস আই প্রদ্যুৎ ঘোষ চৌধুরীসহ একদল পুলিশ নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মোহিতকে আটক করে নিয়ে আসেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাল আদালত বসান। এ সময় দোকানদার আব্দুল মোহিতের স্বীকারোক্তিতে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জীতেন্দ্র কুমার নাথ। পরে থাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

কেচোঁ খুড়তে বেরিয়ে এলো সাপ । বদরুল এবং খাদিজার গোপন ছবি ফাঁস ।


কেচোঁ খুড়তে বেরিয়ে এলো সাপ । বদরুল এবং খাদিজার গোপন ছবি ফাঁস ।






জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফল মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে



জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমের ১ম মেধা তালিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। ফল এসএমএসের মাধ্যমেও পাওয়া যাবে।
মোবাইলে ফল পাওয়ার নিয়ম: বিকাল ৪টা থেকে যে কোন মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে- (nuathnroll no.. লিখে ১৬২২২ নম্বরে মেসেজ Send করলে ফল জানা যাবে।
ওয়েবসাইটে ফল: রাত ৯টার পর এ ফল ওয়েবসাইটেও দেয়া হবে। এজন্য (www.nu.edu.bd/admissions অথবা admissions.nu.edu.bd) ঠিকানায় ক্লিক করতে হবে।
এছাড়াও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.nu.edu.bd/admissions) থেকে জানা যাবে।

কালীপুজো দেখতে গিয়ে পাড়ার যুবকদের হাতে ধর্ষিত ২ স্কুলছাত্রী



পাড়ার যুবকদের বিশ্বাস করে কালীপুজোয় ঠাকুর দেখতে বেড়ানোর খেসারত এ ভাবেই দিল একই পরিবারের দুই কিশোরী। এক জন কীটনাশক খেয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে। আর এক জন গলায় দড়ি দিয়েছে, সে আর বেঁচে নেই।
ভারতের মাথাভাঙার হাজরাহাট পঞ্চায়েত এলাকায় বেলেরডাঙা গ্রামে শনিবার রাতে বেড়াতে বেরিয়ে দুই যুবক তাদের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রী সম্পর্কে পিসি, ভাইঝি। বেলেরডাঙা গ্রামে তাদের বাড়িও পাশাপাশি। পরিবারের সকলেই চাষের কাজ করেন। অভিযুক্ত দুই যুবকের বয়সও বেশি নয়। তাদের সঙ্গে আগে থেকেই ওই দুই কিশোরীর আলাপ ছিল। যুবকেরা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে অনেক আগেই। এক জন ট্রাক্টর চালায়, আর এক জন খেতে কাজ করে।
ওই দুই কিশোরীর বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, যুবকদের সঙ্গে মেয়ে দু’টি কালীপুজো দেখতে বেরিয়েছিল। রাতে বাড়ি ফিরে তারা দু’জনেই ভেঙে পড়ে। জানায়, ওই যুবকেরা তাদের ধর্ষণ করেছে। বাড়ির লোকেদের কাছে তাদের দাবি, বেরোনোর পরেই যুবকদের অভিসন্ধি বুঝতে পেরে তারা ফিরে আসতে চেয়েছিল। তখন তাদের টেনে হিঁচড়ে কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ওই যুবকেরা ধর্ষণ করে।বাড়ি ফিরে মেয়ে দু’টি প্রথমে সব কথা খুলে বলে। তার পরে কেউ কিছু বোঝার আগেই একজন কীটনাশক খেয়ে নেয়। তাকে কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মেয়েটির চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেনি পরিবার। রবিবার দুপুরে দুই কিশোরীর পরিবারই থানায় যায়। ঠিক সেই সময়েই ফাঁকা বাড়ি পেয়ে অন্য মেয়েটি গলায় দড়ি দেয় বলে জানা গিয়েছে।
যে কিশোরী কীটনাশক খেয়েছে, তার মামা বলেন, ‘‘ওদের দু’জনকে বাড়িতে কোনও বকাবকি করা হয়নি। আমরা বুঝতেই পারছিলাম, ওরা ঘটনার শিকার হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাই বলে এমন কাণ্ড করবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।’’ তিনি জানান, পুলিশের কাছে সব কথাই খুলে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর ময়নাতদন্ত হচ্ছে। তা থেকেই জানা যাবে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না। অসুস্থ কিশোরী খানিকটা সুস্থ হলে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে। ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘যেমন অভিযোগ হয়েছে, তেমনই মামলা দেওয়া হচ্ছে।’’ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দীপাবলির রাতে এই ঘটনায় রাতারাতি বদলে গিয়েছে গোটা গ্রামই। রবিবার রাতে প্রদীপ জ্বলেনি তেমন ভাবে। তার উপর এলাকারই দুই যুবক অভিযুক্ত হওয়ায় গ্রামের মানুষের মন আরও ভেঙে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের কয়েক জন জানান, তাঁদের এলাকাটি এমনিতে শান্তিপ্রিয় বলেই পরিচিত। গ্রামের ছেলেরাই এমন গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হবে, সে কথা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না।
চিকিৎসাধীন কিশোরীর বাবা বলেন, “দীপাবলির দিন আনন্দ করবে ভেবেছিল মেয়েটা। আলোর উৎসবের সেই দিনটাই জীবনে অন্ধকার নিয়ে আসবে দুঃস্বপ্নেও মনে হয়নি।” আত্মঘাতী কিশোরীও খুবই প্রাণবন্ত ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবার ও গ্রামের লোকেরা। নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই দুই কিশোরীই নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল। মাথাভাঙা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আবু তালেব আজাদ বলেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। পুলিশের তদন্তেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। দোষীরা পার পাবে না।”
হাজরাহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণিমালা বর্মন বলেন, ‘‘এলাকার ছেলেরাই এমন করল, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইছি।’’ আর মাথাভাঙার ডিওয়াইএফআই নেতা কাজল রায় বলেন, ‘‘উদ্বেগজনক ঘটনা। এমন হলে তো মহিলারা বাড়ির বাইরে যেতেই ভয় পাবেন!’’
রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের অজস্র ঘটনা বেশ কয়েক বছর ধরেই বারবার সংবাদের শিরোনামে আসছে। তার মধ্যে অনেকগুলিতেই লালসার শিকার হতে দেখা যাচ্ছে নাবালিকাদের। কিশোর মনে এমন ঘটনার প্রভাব যে কত মারাত্মক হতে পারে, মাথাভাঙার দুই মেয়ে সেটাই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল।

মাকে কুপিয়ে হত্যা করল নিজ সন্তান


মৌলভীবাজার শহরে রিনা ভৌমিক (৫৫) নামে এক নারীকে খুনের কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে উৎপল ভৌমিকের (৩২) বিরুদ্ধে।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের সৈয়ারপুর এলাকার লোকনাথ মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে উৎপল ভৌমিকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি মাকে দা দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে মায়ের মরদেহ টেনে-হিচড়ে ঘর থেকে বাইরে এনে উঠানের মধ্যে ফেলে রাখে। ঘটনার পর প্রতিবেশীরা উৎপল ভৌমিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অকিল উদ্দিন আহম্মদ জানান, রিনা ভৌমিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।




সবুজ চোখের সেই মেয়েটি ছাড়া পাচ্ছে


ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রচ্ছদে ছবি প্রকাশের পর রাতারাতি জগৎ জুড়ে খ্যাতি পাওয়া সবুজ চোখের সেই আফগান মেয়েটিকে অবশেষে জেল থেকে ছাড়াবার একটা ব্যবস্থা হয়েছে।
নকল কাগজপত্র নিয়ে পাকিস্তানে বসবাসের দায়ে তাকে ক'দিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
শরণার্থী শিশু হিসেবে প্রচ্ছদে ছাপা শারবত গুলা'র সেই সবুজ শিকারি চোখ মানুষকে যেনো তাড়া করে বেরিয়েছে বহুদিন।
কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় শরবত গুল নিজেই আজ তাড়া খেয়ে ছুটছেন। তার মাতৃভূমি আফগানিস্তানের যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বাঁচতে নকল কাগজ-পত্র সংগ্রহ করে পাকিস্তানে তিনি বসবাস করছিলেন।

কিন্তু জাল কাগজ-পত্র ধরা পড়ে যাওয়ায় শারবত গুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সেই গ্রেফতার হওয়ার খবর রটে যায় বিশ্ব-মিডিয়ায়।
এরপরই মিজ. গুলের ভাগ্য যেনো খানিকটা প্রসন্ন হলো। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন, নারী হিসেবে শারবত গুলের কেসটা আবারো তিনি রিভিউ করবেন এবং মানবীয় জায়গা থেকে এটিকে বিবেচনা করবেন।
আর চৌধুরী নাসির আলী খান বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি'র উচিত এই নারীর জামিন মঞ্জুর করা।
মি. খান আরো বলেছেন আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিয়ে হয় তাকে দেশে ফেরত পাঠাবো বা সাময়িক ভিসা দিয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করতে বলবো। কিন্তু এরপরই আমরা সেই সব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ধরবো যারা এই নকল পরিচয়পত্র দিয়েছিল।
পাকিস্তান সম্প্রতি নকল পরিচয়পত্র ধরতে যে অভিযান চালায় সেখানেই ধরার পড়েন শারবত গুল । আফগান সীমান্ত সংলগ্ন পেশওয়ারে গত দু'বছর ধরে তিনি বসবাস করছিলেন।


স্যালুটের রহস্য ভাঙলেন সাকিব আল হাসান



মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিনেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
মূলত মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
ইংল্যান্ড দলের যখন একের পর এক উইকেট পড়া শুরু হলো, বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে তখন চরম উত্তেজনা। আর খেলোয়াড়দের মধ্যেতো রয়েছেই।
এরই মধ্যে দর্শকরা দেখতে পেল এক ভিন্ন দৃশ্য - ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের উইকেট নেয়ার পর সাকিব আল হাসান প্রথমেই এক স্যালুট দেন, তারপর তিনি দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ওই স্যালুট সাকিব কেন দিয়েছিলেন তা সে সময় জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল, অনেক ক্রিকেট ভক্ত নিজেরা স্যালুট দিয়ে ফেসবুকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
তবে স্যালুটের রহস্য আজ ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান নিজেই।
টুইটারে এক বার্তায় সাকিব আল হাসান লিখেছেন, "বাংলাদেশে এই সিরিজ খেলতে আসার জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে ও ইংল্যান্ড দলকে ধন্যবাদ। বিশেষ করে আমাদেরকে বিশ্বাস করার কারণে ইংল্যান্ডকে স্যালুট"।

রাজধানীর ভাটারায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ


রাজধানীর ভাটারায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণকারী হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ছাত্রীর পরিবার। রাশেদুল ভাটারা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ খন্দকারের ভাই।ছাত্রীর পরিবার রাশেদুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। ওই ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, শনিবার রাতে রাশেদুল ছাত্রীকে কুড়িলের একটি দোতলা বাসায় ডেকে নেয়।ছাত্রীটি প্রায় দুঘণ্টা পর বাসায় ফিরে মাকে ধর্ষনের কথা জানায়। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।


ভারতীয় মিডিয়া যা লিখলো : মেহদি হাসান বুলডোজার চালিয়ে দিল ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের উপর


অ্যালিস্টার কুকদের বাংলাদেশ যে ভাবে হারাল, তার পর আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে একটা ভবিষ্যদ্বাণী করার লোভ সামলাতে পারছি না।
বিরাট কোহালি মনে হচ্ছে সিরিজ ৫-০ জিতবে!
বলার কারণ আছে। বাংলাদেশের যে মেহদি হাসান মিরাজকে খেলতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেল কুকরা, তার বয়স মাত্র উনিশ। টেস্ট কেরিয়ার সবে শুরু করেছে। সেখানে ভারত সফরে এসে কোন কোন স্পিনারের বিরুদ্ধে লড়তে হবে ইংল্যান্ডকে? না, রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাডেজা। অমিত মিশ্র। ইংল্যান্ড সামলাবে কী করে? সবচেয়ে বড় কথা, টিমটা তো একই। যে টিমটা বাংলাদেশে হারল, সেই একই টিম নিয়ে তো ভারতে আসছে ইংল্যান্ড। আমার তো মনে হয়, ওরা দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছে। অশ্বিন-জাডেজাদের খেলার দুঃস্বপ্ন।
রবিবার দুপুরে শুনলাম ২৭৩-এর টার্গেট নিয়ে ইংল্যান্ড একটা সময় বিনা উইকেটে একশো ছিল। সেখান থেকে ১৬৪ অলআউট! দশটা উইকেটই পড়ল দিনের শেষ সেশনে। মেহদি হাসান প্রায় একাই বুলডোজার চালিয়ে দিল ওদের ব্যাটিংয়ের উপর দিয়ে। যা প্রশ্ন উঠে পড়ল যে, ভারতে এলে এদের কী হাল হবে?
আগের টেস্টেও কোনও রকমে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সে টাবাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য। কিন্তু এ বার যেহেতু হার-জিতের ফয়সলা বাংলাদেশের বোলারদের হাতে ছিল, ইংল্যান্ড ম্যাচ আর বার করতে পারেনি। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের কুড়িটার মধ্যে ১৯টা উইকেট নিয়েছিল স্পিনাররা। এই ম্যাচে কুড়িটা উইকেটের কুড়িটাই স্পিনার। যা বুঝিয়ে দিল, স্পিন-অস্ত্রে এই ইংল্যান্ডকে কাবু করা কঠিন হবে না।
গত ভারত সফরে টেস্ট সিরিজ ইংল্যান্ড জিতেছিল দু’টো কারণে। গ্রেম সোয়ান আর মন্টি পানেসরের মতো দু’জন স্পিনার ছিল হাতে। সেখানে এই ইংল্যান্ডের সেরা স্পিনার মইন আলি একদম ফর্মে নেই। বাকি তিন স্পিনারের মধ্যে গ্যারেথ ব্যাটি, আদিল রশিদ, জাফর আনসারিদের মোট টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা—চোদ্দো! দ্বিতীয়ত, ব্যাটিং। গত সফরে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ে একটা কেভিন পিটারসেন ছিল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অ্যালিস্টার কুক ছিল। কুক এ বারও আছে। কিন্তু পিটারসেন নেই। টিমটা বড় বেশি কুক আর জো রুটের উপর নির্ভর করে। ওদের কপাল খারাপ। মি আলির মতো রুটেও ফর্ম খারাপ যাচ্ছে।
শুনলাম, ভারত সফরের আগে সাকলিন মুস্তাককে আনছে ইসিবি। স্পিনারদের পনেরো দিনের একটা ক্র্যাশ কোর্স করাতে। মনে হয় না, তাতে বিশেষ কোনও লাভ হবে। সাকলিন তো এখনও টিমটাকে ধরতেই পারল না। কাজই করল না। ওর হাতে জাদুদণ্ড আছে নাকি যে, ছুঁলেই সব পাল্টে যাবে? ইসিবির উচিত ছিল, বাংলাদেশ সফরের আগে সাকলিনকে টিমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। তা হলে কিছু হতে পারত। ভারত সফরের সাত দিন আগে এসে বিশেষ কোনও লাভ হবে বলে আমার মনে হয় না।
আর পিচও তেমন হবে। অনেকের নিশ্চয়ই মনে আছে, কী ভাবে মোহালিতে টার্নার বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাড়ে তিন দিনে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত? রাজকোট, বিশাখাপত্তনমের উইকেটে স্পিনারদের সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তার উপর অশ্বিন-জাডেজাদের নিউজিল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হল। পুরো ভাবনাটাই হচ্ছে, ইংল্যান্ডের জন্য তৈরি হও। নিজেদের তাজা রাখো। আর ভারত যদি অমিত মিশ্রকে খেলিয়ে তিন স্পিনারে যায়—ইংল্যান্ডের কপালে দুঃখ আছে। কুক-রুট ছাড়া খেলবে কে? ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের অবস্থা কী, বাংলাদেশ তো বুঝিয়ে গেল।

বাইকে হাত দিলেই বমি করবে চোর!


এখন থেকে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলেই বমি করে মারা যাবে চোর। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। আবার যে সে বমি নয়, একেবারে বেপরোয়া বমি, যা সহজে থামবার নয়। ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। আমেরিকার সানফ্রান্সিকো শহরের বাসিন্দা ড্যানিয়েল। যত বার মোটর বাইক কিনে আনেন, ততবারই তা চুরি হয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তার এক ‘কেমিস্ট’ বন্ধুকে সঙ্গে শুরু করলেন নতুন ধরণের ‘বাইক লক’ বানানোর চেষ্টা। তার চেষ্টা বিফলে যায়নি।
ড্যানিয়েল জানিয়েছেন, ‘এই লকের মধ্যে এক ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া থাকে, যা মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তবে পুরোপুরি অজ্ঞান করে না। বরং মাথার মধ্যে ঝিমঝিম ভাব এনে দেয়। সঙ্গে থাকে বিশেষ এক রকমের গ্যাস, যা নাকে যাওয়া মাত্রই গা গুলিয়ে উঠবেই, পাশাপাশি বমি।’
ড্যানিয়েল জানান, ‘প্রথমে এই লকটা আমরা নিজেদের ওপর ট্রাই করি। তারপরই বাজারে নিয়ে আসার কথা ভাবতে শুরু করি।’ এই লকের খপ্পরে যদি কোনো বাইক চোর পরে, তাহলে সে সারাজীবনের মতো বাইক চুরি ভুলে যাবে।’ ড্যানিয়েল এই লকের নাম রেখেছেন ‘সাঙ্কলক’। আমেরিকা ছাড়াও এই লক ছড়িয়ে পড়েছে নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, সাউথ আফ্রিকা, কানাডাতেও। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে কবে এই লক বাজারে আসবে তা জানা যায়নি।



চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবেও রেকর্ড বুকে মেহেদী


ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ১২ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৯ বছর ৫ দিন বয়সে এক টেস্টে ১২ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন তিনি। ফলে বয়সের দিক থেকে চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে এক টেস্টে ১২ উইকেট শিকারের নজির গড়লেন মেহেদী।
সর্বকনিষ্ট বোলার হিসেবে এক ম্যাচে ১২ উইকেট শিকারের তালিকায় মেহেদীর আগে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র, ভারতের লেগ-স্পিনার লক্ষণ শিবারামকৃষ্ণান ও পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিস।


স্যালুট দিয়ে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানালেন বার্নিকাট

টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়কে স্যালুট দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট। সোমবার বিকালে যুক্তরাষ্টের বাংলাদেশি দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে সাকিবের মতো উদযাপন করে বার্নিকাটের একটি ছবি পোস্ট করে ক্রিকেট দলকে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে দূতাবাসের অফিসিয়াল ফ্যান পেইজে ছবিটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে ‌Ambassador Bernicat congratulates the Bangladesh Cricket : The Tigers on their historic Test win against #England
এরআগে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তৃতীয় দিনেই জয় পাওয়া বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার মন্ত্রিসভা থেকেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানো হয়।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

যে কারণে শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাড়িতে না আসার অনুরোধ মিরাজের বাবার


এ জয় ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের জন্য গৌরবের আর আনন্দের। ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত এনে দেয় এই জয়। শক্তিশালী ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে আদি দল। সবচেয়ে অভিজাত ইতিহাসের দলও তারা। সেই ইংল্যান্ডকে আজ টেস্টে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ।
রকেট সিরিজের দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ হয়ে হয়েছেন খুলনার ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ। যা বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড। খুলনার কৃতি সন্তান মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরেই ক্রিকেটে বাংলাদেশ এই নতুন ইতিহাস গড়ে।
মিরাজের এই সাফল্যে সারাদেশের সঙ্গে আনন্দে ভাসছে খুলনাবাসীও। টেস্ট শেষ হওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমী খুলনাবাসী ভিড় জমিয়েছেন নগরীর খালিশপুর থাকার কাশিপুর এলাকায় মিরাজের বাড়ির সামনে। সেখানে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মিষ্টির ছড়াছড়ি। আগের দিন মুশলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় মিরাজের বাড়ির উঠানে এখন কাদা হয়ে আছে। ফলে শুভেচ্ছা জানাতে আসা শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাড়িতে না আসার অনুরোধ জানান মিরাজের বাবা।
সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মিরাজের বাবা মো. জামালের কথা হয়। শুভাকাঙ্ক্ষীদের বাড়িতে না আসার অনুরোধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুরো উঠান কাদায় মাখামাখি। অনেক মানুষ আসছে। কোনো সমস্যা যাতে না হয়। সেজন্য সবাইকে বাড়িতে না আসার অনুরোধ করছি।
একমাত্র ছেলের বিশাল এই সাফল্যে তিনি এতোটাই আবেগআপ্লুত যে কী করবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন তা ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না। শুধু এটুকু বলেছেন, ছেলের সাফল্যে সারা দেশবাসী যেমন খুশি তেমন আমিও খুশি। তবে অনেক খুশি। আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়। মিরাজ আরো এগিয়ে যাবে এই দোয়া করি।
পাশাপাশি এই সাফল্য যেনো ধারাবাহিক হয় সেজন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ছেলের সাফল্যও কামনা করেন। সোমবার মিরাজ খুলনায় আসবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
মিরাজের এক সময়কার কোচ মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা গর্বিত মিরাজকে নিয়ে। এক সময় মিরাজকে ভাড়ায় খেলতে নিয়ে যেতেন। আজকের সাফল্যের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আজ মিরাজ চলে গেছে অনন্য উচ্চতায়। আল্লাহ তাকে আরো বড় খেলোয়াড়ে পরিণত করুন এটাই আশা করি।
সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মিরাজের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান খুলনা মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম। তিনি মিরাজের বাবাকে জড়িয়ে ধরেন। মিষ্টি তুলে দেন তার মুখে। তার অনেক আগে থেকেই সেখানে চলতে থাকে মিষ্টি বিতরণ। উপস্থিত সবাই মিরাজের শুভকামনা করেন।

চুরান্ত সাজেশান অনার্স ১ম বর্ষ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস



Suggestion for History of the Emergence of Independent Bangladesh








ব্রাম্মন বাড়ীয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার পরমুহুর্তের ভিডিও। দেখুন ক্ষতবিক্ষত মানুষ কিভাবে গাড়িতে পড়ে আছে!

ব্রাম্মন বাড়ীয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার পরমুহুর্তের ভিডিও। দেখুন ক্ষতবিক্ষত মানুষ কিভাবে গাড়িতে পড়ে আছে!

ব্রাম্মন বাড়ীয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার পরমুহুর্তের ভিডিও। দেখুন ক্ষতবিক্ষত মানুষ কিভাবে গাড়িতে পড়ে আছে!

মেহেদী হাসান মিরাজের বাড়ি মিষ্টি-ফুলে ভরপুর


সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ॥ মিরপুরে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরপরই বিভিন্ন স্তরের মানুষ ছুটছে খুলনার খালিশপুরের একটি বাড়িতে। কেউ ফুল, কেউবা মিষ্টি হাতে হাজির। লোকের ভিড় সামলাতে বাড়ির বাইরে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। বাড়িতে এত লোকের আনাগোনার কারণ হলো বাড়িটি ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের।

আজ মিরপুরে ১০৮ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ১২ উইকেট পেয়েছে। চট্টগ্রামেও অভিষিক্ত টেস্টে পেয়েছে ৭ উইকেট।

জয়ের পর বাড়িতে অনেক লোক আসতে থাকায় মিরাজের বাড়ির বাইরে রাস্তার পাশে কিছু চেয়ার দিয়ে করা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। মানুষ আসছে আর সেখানেই তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন মিরাজের বাবা। আর মিরাজের মা ও ছোট বোন বাড়ির ভেতরে। তবে উৎসুক মনগুলোকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। তাই মাঝেমধ্যেই বাইরে চলে আসছেন তাঁরা। হবেই বা না কেন! এত মানুষের ভিড় তো আর কখনো দেখেননি তাঁরা। তবে এ মানুষের যন্ত্রণাকে তাঁরা নিয়েছেন ভালোবাসা হিসেবে। এ ভালোবাসা মিরাজের প্রতি এলাকাবাসীর। এ ভালোবাসা মিরাজের বাবার প্রতি সাধারণ মানুষের।

মেহেদী হাসান মিরাজ আজ বাংলাদেশের গর্ব। অভিষেক টেস্টেই ভেলকি দেখিয়েছেন ব্রিটিশদের। তাঁর হাত ধরেই এসেছে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়। হয়েছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরা।

মিরাজের বাবা মো. জালাল হোসেন অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মিরাজের কৃতির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। শুধু যাঁর বাবা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তিনিই জানেন। মিরাজ আজ শুধু খুলনার নয়, সারা বাংলাদেশের গর্ব। তিনি আশা করেন, মিরাজ একসময় আরও ভালো খেলোয়াড় হবে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

খুলনায় মিরাজ খেলেন কাশীপুর ক্রিকেট একাডেমিতে। ওই একাডেমির সভাপতি শেখ খালিদ হাসানকে পাওয়া গেল সেখানেই। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৩ খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম পুরস্কার ওঠে মিরাজের হাতে। বর্তমানে ওই একাডেমির ক্রিকেট প্রশিক্ষক ও দলের ক্যাপ্টেন মিরাজ। মিরাজের প্রতিভা আছে। সুযোগ পেলে সে একসময় আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে উঠবে।

যাঁর হাত ধরে মিরাজের খেলা শুরু, সেই কাশীপুর ক্রিকেট একাডেমির প্রশিক্ষক মো. আল মাহমুদ আছেন ঢাকায়। সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে যখন মোবাইলে কথা হয়, তখন তিনি ট্রেনে খুলনায় ফিরছেন। অনুভূতি ব্যক্ত করতে তিনি বলেন, মিরাজ এখন শুধু খুলনার নয়, সারা বাংলাদেশের। ছোট একটি পরিসর থেকে সে সম্পূর্ণ তাঁর মেধা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে উঠে এসেছে।

মিরাজের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে এসেছেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিরাজ মাঠে নামার আগে আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে দোয়া চেয়েছিল। বর্তমানে মিরাজের কৃতিত্বে খুশি সারা বাংলাদেশ। আর আনন্দ ভাসছে খুলনার মানুষ। এভাবেই যেন সে বারবার দেশের মানুষকে আনন্দে ভাসাতে পারে, সে দোয়া করেন তিনি।

খুলনা বিভাগীয় নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ দেশের জন্য যা করেছে, তাতে খুলনার মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত। মিরাজ ভবিষ্যতে আরও বড় খেলোয়াড় হোক।’

রাস্তার ওপর কেনো মিরাজের বাবা চেয়ার নিয়ে বসেছেন, এর কারণ জানা গেল মিরাজদের বাড়িতে ঢোকার পর। যে গলি দিয়ে রিকশা যেতে পারে না, এমন একটি গলির মধ্য দিয়ে ঢুকতে হয় বাড়িতে। ভাড়া নেওয়া টিনের চালার ওই বাড়িতে ঘর মাত্র দুটি। বাঁশের চাটাই দিয়ে বারান্দার একটি অংশ ঢেকে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আরেকটি ঘর। একটি ঘরে দেখা গেল মিরাজের পাওয়া সারি সারি সাজানো মেডেল।

ইতালি ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল















ঢাকা : গত সপ্তাহে পরপরর দু’বার কেঁপে ওঠার পর রবিবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইতালি। সেন্ট্রাল ইতালিতে ভূমিকম্প অনুভব করা হয়েছে৷
আমেরিকার ভূগর্ভ সর্বেক্ষণ বিভাগ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৭.১৷ যদিও ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পাওয়া যায়নি৷
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল, ইটালির পেরুজিয়া উৎসস্থল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রোমেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়৷

শাস্তি থেকে এবার রেহাই পেলেন না স্টোকস

এবার আর রেহাই পেলেন না বেন স্টোকস। ওয়ানডে সিরিজে তাকে শুধু ‘সতর্ক’ করা হলেও এবার শাস্তি পেতেই হলো এই ইংলিশ অলরাউন্ডারকে। ঢাকা টেস্টের  তৃতীয় দিনে সেই সাব্বির রহমানের সঙ্গেই ঝগড়া করে জরিমানা গুনলেন তিনি। অক্রিকেটীয় আচরণের শাস্তি হিসেবে স্টোকসের ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ কর্তন করা হয়েছে। সেইসাথে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ‘ডিমেরিট’ পয়েন্ট।
ম্যচের তৃতীয় দিন সকালে সাব্বির রহমান উইকটে যাওয়ার পর তার সঙ্গে অকারণে বিবাদে জড়ান স্টোকস। আম্পায়াররা বারবার নিষেধ করার পরও তিনি তা শোনেননি। আম্পায়াররা তখন অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুককে বলেন স্টোকসকে থামাতে। কিন্তু তার পরও বিরত থাকেননি এই অলরাউন্ডার। আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য সব স্বীকার করেছেন স্টোকস। ম্যাচ রেফারির আন অভিযোগ এবং শাস্তি মেনে নিয়েছেন। তাই শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

স্টোকসকে বোল্ড করে সাকিবের 'স্যালুট'!

১২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মিরাজ

১২৯ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ১৯ বছর বয়সি এ তরুণ তুর্কী।
১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার জন জেমস ফেরিস অভিষেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন। অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরিস পান ৫ উইকেট। নিউ সাউথ ওয়েলসের এ পেসার একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট পকেটে পুরেন।ন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের অভিষেক টেস্টে নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট।এরপর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ের ধারাবাহিকতায় মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসেও নিলেন ৬ উইকেট। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মিরাজের উইকেট সংখ্যা ১৯টি|আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন দুই সপ্তাহও হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে আলোড়ন তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার রহস্যময়, দুর্বোধ্য ও বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে দিশেহারা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাচট্টগ্রামে টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন মিরাজ। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখান। এরপর আরো ১ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ২ টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডও গড়েন ডানহাতি এই অফস্পিনার। সব মিলিয়ে মিরাজের পকেটে এখন ১৯ উইকেট।



দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার মধ্য দিয়ে এক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ারও রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। মিরাজ কম ওভারে ১২ উইকেট নিয়ে এনামুল জুনিয়রকে ছাড়িয়ে গেছেন

অভিষেকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট
নাম                                  দল                প্রতিপক্ষ              উইকেট       
মেহেদী হাসান মিরাজ            বাংলাদেশ         ইংল্যান্ড            ১৯       
জন জেমস ফেরিস                অস্ট্রেলিয়া        ইংল্যান্ড              ১৮        
চার্লি টার্নার                         অস্ট্রেলিয়া         ইংল্যান্ড             ১৭         
অ্যাডাম হাকলি                    জিম্বাবুয়ে           নিউজিল্যান্ড        ১৬         
টম কেন্ডাল                        অস্ট্রেলিয়া          ইংল্যান্ড             ১৪         
স্কলিফিল্ড হাই                      ইংল্যান্ড            দক্ষিণ আফ্রিকা     ১৪

স্টোকসকে বোল্ড করে সাকিবের 'স্যালুট'!

সাকিব আল হাসানকে এমন দুষ্টুমি মাঝে মধ্যেই করতে দেখা যায়। তবে টেস্ট ক্রিকেটে স্যালুট বোধহয় এবারই প্রথম দিলেন। সেটা আবার বেন স্টোকসকে। যে স্টোকসের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্ক মোটেও সুবিধার নয়। আজ মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন বিকেলে স্টোকসকে সরাসরি বোল্ড করেন সাকিব। তারপরই সবাই অবাক হয়ে দেখে স্টোকসকে ব্যাঙ্গ করে স্যালুট ঠুকছেন সাকিব!
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বেশ বিবাদ হয়েছিল দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে। ওয়ানডে অধিনায়ক জস বাটলারের আউট উদযাপন করতে গিয়ে জরিমানাও গুনতে হয়েছে মাশরাফি ও সাব্বিরকে। তারপর আবারও তামিমের সঙ্গে লেগে যায় স্টোকসের। সাকিব এসে সেই বিবাদ মেটান। প্রিয়বন্ধু তামিমের হয়ে কী এই মধুর প্রতিশোধ নিলেন সাকিব?
ক্রিকেটে এর আগে সবচেয়ে আলোচিত 'স্যালুট' এর ঘটনার সঙ্গেও বেন স্টোকসের নাম জড়িত! গ্রানাডায় দ্বিতীয় টেস্টে স্টোকস আউট হবার পর তাকে মিলিটারি কায়দায় স্যালুট দেন ক্যারিবীয় বোলার স্যামুয়েলস। তার আগে ১০৩ রানের ইনিংসটি খেলার সময় স্যামুয়েলসকে উত্ত্যক্ত করছিলেন স্টোকস। ‌এরপর ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮ রানে স্টোকস বিদায় নিলে তাকে স্যালুট দিয়ে প্রতিশোধ নেন স্যামুয়েলস। এই ঘটনা দেখে কিংবদন্তি বোলার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, "একটু কৌতুক করলে কোনো সমস্যা নেই। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।"
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও অ্যামব্রোসের সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন, "দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ মজার কিছু দেখলাম। আশা করি সে জরিমানার শিকার হবে না। এটা অসাধারণ এক কৌতু

মাত্র ১ মিনিটের এই ভিডিও টি একবার হলেও দেখুন !!!!

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

ধর্ষকের হাত থেকে রেহায় পেলোনা ৫ বছরের শিশুও! পুরুষ তোমরা মানুষ হও!

আজকাল খবরের কাগজ খুলতেই চোখে পরে সেই নির্মম দৃশ্য গুলো। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যায় ইভটিজিং,ধর্ষণ,কুপিয়ে যখম,গলাকেটে হত্যা এবং নানা ধরনের নির্যাতনের কথা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা নারীরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের নিরাপত্তা।
প্রায়ই মনে প্রশ্ন জাগে, এই একবিংশ শতাব্দীতেও কেন নারীর জন্য একটা নিরাপদ রাষ্ট্র পেলাম না? সেই পঞ্চাশ বা ষাটের দশকের ছবিগুলোতে যখন দেখি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক আন্দোলনে নারীরা রাজপথে, তখন আমার গর্ব হয়। অথচ আজ স্বাধীন বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রেনে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সর্বত্রই আজ আমরা নিপীড়নের শিকার। রেহাই নেই ফেসবুক বা অনলাইনেও।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদে, গত বছর সারা দেশে উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ৩৬২ জন নারী ও শিশু। এরই মধ্যে তাৎক্ষণিক প্রতিকার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ২২ জন। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০৯ জন নারী রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বখাটেদের উৎপাতের শিকার হয়েছে এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫১২টি।
পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে আমরা কতটা সংকটের মুখে পরে আছি। আপনারা যদি বাংলাদেশ পুলিশের ওয়েবসাইটে গিয়ে বাংলাদেশের নানা ধরনের অপরাধের তথ্য যিনি দেখবেন তিনি চমকে উঠবেন। চুরি, ডাকাতি, খুন, অপহরণসহ যেকোনো অপরাধের চেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা অনেক বেশি ঘটে এ দেশে। গত এক যুগে হিসাব করলে দেখা যায় সেই সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এ পরিসংখ্যান দেখে প্রশ্ন জাগে, আমাদের দেশের পুরুষরা কি আদৌ সভ্য? আদৌ কি তারা পুরুষ?
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এমন দিন খুব কমই গেছে যেদিন দেশের কোনো না কোনো প্রান্ত থেকে নারী নিপীড়নের খবর আসেনি, একটার পর একটা হত্যাকান্ড। কখন মাদারীপুরের নিতু, কখনো অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিসা, কখন তনু, কখনো সিলেটের কলেজছাত্রী খাদিজা আছেই এই দেশের খবরে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান মনে করেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হলে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এরা একটু ভয় পাবে। এ জন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
এর পর পরই শোনা যায় বদরুল আলমের চাপাতির কোপে খাদিজার ক্ষত না শুকাতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের চরমোদন গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা জাহানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাহমিনা ছাড়াও আফছানা, দিনাজপুরের ৫ বছরের শিশু পূজা সহ আরও অনেক কেই এই নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
আর এই প্রতিটি ঘটনাই ঘটিয়েছে পুরুষ নামের কতগুলো ‘মানুষ’। সত্যিই কি তারা মানুষ? নাকি অন্নকিছু? মানুষ কি কখনো মানুষকে কোপাতে পারে? মানুষ হলে নিশ্চয়ই তারা নারীর চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করত না। যে বখাটেরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা কি একবারও ভাবে না, যে এই দেশেই তো তাদেরও মা, বোন কিংবা অন্য কোনো স্বজনকে চলাফেরা করতে হয়। পুরুষ হয়ে তারা যদি আরেকটি মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তাদের মা-বোনকে নিরাপত্তা দেবে কে?
হাইকোর্ট বিভাগ যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ২০০৯ সালের ১৪ মে একটি নির্দেশনামূলক রায় দেন। তাতে উল্লেখ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সর্বস্তরে নারীর ওপর যৌন হয়রানিমূলক আচরণ প্রতিরোধে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কেউ যদি অশোভন আচরণের শিকার হয় তাহলে নিকটস্থ থানায় বা দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে এবং মুঠোফোনের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করবেন। আবার দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারা অনুযায়ী, কোনো নারীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়, তাহলে এক বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ঢাকা মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশের ৭৬ ধারা অনুযায়ী, নারীদের উত্ত্যক্ত করার ফলে শাস্তি কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ড। আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও ১০ বছর সাজার বিধান রয়েছে। কিন্তু শুধু আইন দিয়ে কি সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে? নাকি এর জন্য মানসিকতা বদলানো জরুরি।
বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তেই নারী নিপীড়নের ঘটনা ঘটুক না কেন, একজন পুরুষের পক্ষ সেটি শোনা লজ্জা জনক। সবাই দাড়িয়ে থেকে ভিডিও না করে, সবাই মিলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে কলঙ্কজনক এসব ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব। সত্যিকারের মানুষ কখনো নারী নিপীড়ন করতে পারে না। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা ‘পুরুষ’নামের হিংস্র পশু। পশু হয়েই জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে তারা। আর যেন কোন পুরুষকে লজ্জিত হতে না হয়। কাজেই পুরুষ জাতির কাছে আমার অনুরোধ, তোমরা সত্যিকারের মানুষ হও।