ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পালং মডেল থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানিয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশের নায়েক সেলিমুজ্জামন মাতুব্বরকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় পালং থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
ওসি বলেন- মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে গোপন সংবাদ পেয়ে রাত ১০টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারে বিমানবন্দরে অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) পালং মডেল থানার পুলিশ আক্তার হোসেনকে ঢাকা থেকে শরীয়তপুর নিয়ে এসেছে।
এ মামলায় এর আগে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান জাগরণকে গত ৩ নভেম্বর ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তারা এখন শরীয়তপুর কারাগারে রয়েছেন বলে জানান ওসি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়- ১ নভেম্বর সকালে শরীয়তপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন হাওলাদারের ভাগ্নে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আকতার হোসেন ঢালি ও আওয়ামী লীগ নেতা ও পালং তুলাসার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ খলিলুর রহমান জাগরণ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবাশীষ সাহাকে একটি ‘বানানো’ সার্টিফিকেট দিতে বলেন।
অভিযোগে বলা হয়- ডাক্তার বানানো সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার অফিস কক্ষে গিয়ে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। ওই সময় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা পুলিশের নায়েক সেলিমুজ্জামন মাতুব্বর প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর ও চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন