কালকিনি প্রতিনিধি: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এবার অশোক রায় নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন মিলে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন। এদিকে এ অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে স্থানীয় লোকজন। তবে এ ঘটনার পর থেকেই ওই লম্পট শিক্ষক অশোক রায় স্কুল ছেড়ে পলাতক রয়েছে বলে একাধিক সুত্র জানায়। এ বিষয় নিয়ে আজ শনিবার ভুক্তভোগীদের পরিবারদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকা ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শশিকর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক রায় রাতের আধারে বিভিন্ন সময় হোষ্টেলে থাকা ছাত্রীদের রুমের গিয়ে কু-প্রস্তব দিয়ে আসছে। তাতে কোন ছাত্রীরা সারা না দিলে তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে এবং বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি- ধামকি দেয় ওই শিক্ষক। এতে করে ওই বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে চড়ম আতংক সৃষ্টি হয়েছে। পরে নিরুপায় হয়ে এ শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিষয়গুলো ছাত্রীরা তাদের অভিবাকদের অবহিত করেন। অভিভাবকরা বিষয়টি জেনে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিস ও থানার ওসির বরাবর ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে অপসারনের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করেন। বিষয়টি সর্বমহলে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক অশোক রায় এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়াও উল্লেখ্য থাকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ভবন সংস্কারনে নামে কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
মিষ্টি বিশ্বাস, তানিয়া তালুকদার ও পপি রায়সহ অর্ধশতাধিক স্কুল ছাত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমাদের স্যার আশোক রায় বিভিন্ন সময় স্কুলে বসে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। রাতের আধারে রুমের দরজা খুলতে বলেন। তার কথা না শুনলে আমাদের বিভিন্ন ভয় দেখান। বিরেন রায়, বিমল ও হরিপদ তালুকদারসহ দুই শতাধিক ছাত্রীদের অভিভাবক বলেন, লম্পট শিক্ষক আশোক রায়ের অপসারন ও দৃষ্টান্তমুল বিচার দাবি জানাই। কারন তার অনৈতিক কারনে স্কুলে কোন ছাত্রী যেতে চায়না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অশোক রায়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মৃনাল বলেন, ওই শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে স্কুল আজ ধ্বংশের দারপ্রান্তে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাম্মী আক্তার সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, এ বিষয় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



